জেলেদের প্রত্যাশা পূরণ

বাংলাদেশ-ভারতে একই সময়ে নিষেধাজ্ঞা

ট্রলার মালিক শাহিন আহম্মেদ বলেন, ‘ভারতের সাথে আমাদের দেশের নিষেধাজ্ঞার সময়টা এবার মিল আছে। আমরা এতে খুশি তবে আমরা চাই সরকার যেন...

রবিন আহম্মেদ, পায়রা বন্দর (পটুয়াখালী)
বাংলাদেশ-ভারতে একই সময়ে নিষেধাজ্ঞা
বাংলাদেশ-ভারতে একই সময়ে নিষেধাজ্ঞা |নয়া দিগন্ত

সামুদ্রিক মাছের বংশবিস্তার, বেড়ে ওঠা ও টেকসই আহরণের জন্য আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা। যা ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

মঙ্গলবার থেকে বঙ্গোপসাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তা আগে ছিল ৬৫ দিন। এক সপ্তাহ সময়সীমা কমানোর পাশাপাশি এই নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ভারতের সাথে প্রায় সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন উপকূলীয় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর জেলেরা। তবে খাদ্য সহায়তা নিয়ে এখনো রয়েছে নানা অভিযোগ। জেলেদের অভিযোগ, প্রকৃত অনেক জেলে এখনো অনিবন্ধিত। জেলে না হয়েও অন্য পেশার লোক পায় খাদ্য সহায়তা। যার ফলে প্রকৃত অনেক জেলে থেকে যায় এই সুবিধার বাইরে। নিষেধাজ্ঞাকালীন তাদের দিন কাটে চরম কষ্টে। 

রাঙ্গাবালীর ট্রলার মালিক শাহিন আহম্মেদ বলেন, ‘ভারতের সাথে আমাদের দেশের নিষেধাজ্ঞার সময়টা এবার মিল আছে। আমরা এতে খুশি তবে আমরা চাই সরকার যেন শুরুতেই প্রণোদনার চাউলটা আমাগো দেয় এবং পরিমাণটাও বাড়ায়।’

স্থানীয় জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার ভারত ও বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞার সময় প্রায় এক  হওয়ায় দীর্ঘদিনের এক সমস্যার অবসান হয়েছে। আগে ভারতের নিষেধাজ্ঞা প্রায় ৩৯ দিন আগেই উঠে যাওয়ার পর তাদের জেলেরা বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যেত। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন স্থানীয় জেলেরা। তবে এবার আর সেই সুযোগ থাকবে না, যা বড় স্বস্তি এনে দিয়েছে উপকূলীয় জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের।

রাঙ্গাবালী উপজেলা সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন রাজু নয়া দিগন্তকে জানান, নিষেধাজ্ঞা মানলে মাছের উৎপাদন ও মজুদ বাড়বে। জেলেরা উপকৃত হবে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সহায়তার চাল শুরুতেই বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হবে। পাশাপাশি জেলেদের তালিকা হালনাগাদের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, সমুদ্র সম্পদ সংরক্ষণে নিষেধাজ্ঞা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি কর্মহীন এই সময়টিতে জেলেদের জীবিকা নিশ্চিত করাও জরুরি। ভারতের সাথে মিল রেখে বাংলাদেশের সময়সীমা নির্ধারণ জেলেদের স্বস্তি এনে দিলেও এখন প্রয়োজন খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও সময়মতো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার।