শুরু হয়েছে দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক বায়োসায়েন্স কনফারেন্স ও কার্নিভাল। রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স এবং রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে অংশ নিয়েছেন দেশের খ্যাতিমান বিজ্ঞানী, গবেষক এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সে সম্মেলনের প্রথম দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও সম্মেলনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: আতিয়ার রহমান। এরপর ধারাবাহিকভাবে তিনটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
মূল প্রবন্ধে বায়োসায়েন্স ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে উদ্ভাবন, প্রাকৃতিক পণ্যে ওষুধ আবিষ্কারের সম্ভাবনা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন সম্ভাবনা নিয়ে আলোকপাত করেন দেশের প্রখ্যাত বিজ্ঞানীরা।
সন্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অন্তবর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
তিনটি প্রবন্ধে ড. আসাদুলগনি বায়োসেফটি ও বায়োসিকিউরিটিতে উদ্ভাবন ও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। অধ্যাপক ড. মনিরা আহসান প্রাকৃতিক উৎস থেকে ওষুধ আবিষ্কারের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। অধ্যাপক ড. আবেদ চৌধুরী পার্বত্য চট্টগ্রামে খাদ্য নিরাপত্তা, বন, এবং বায়ো-ব্লু ইকোনমি ভিত্তিক উন্নয়নের উপর আলোকপাত করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো: শাহিনুল আলম এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো: সাইদুর রহমান।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিবিবিএস-এর মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো: রকিবুল ইসলাম ও কনফারেন্স সেক্রেটারি ড. নিখিল চাকমা।
এ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন থেকে চলবে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ মে পর্যন্ত। সেখানে থাকছে কর্মশালা,পোস্টার সেশন, এবং বিজ্ঞানভিত্তিক নানা আয়োজন।
দেশের প্রথম এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী, গবেষক, ও শিক্ষাবিদরা অংশ নিয়েছেন। এ আয়োজন নতুন প্রজন্মের গবেষকদের জন্য একটি দিকনির্দেশনা হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা করছেন আয়োজকরা।