দৌলতপুর বিএনপির সম্মেলন : সভাপতি বাচ্চু মোল্লা, সম্পাদক বিল্লাল হোসেন

সকাল ১০টায় জাতীয় সঙ্গীত ও পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে সম্মেলন শুরু হলেও ভোট গ্রহণ শুরু হয় দুপুর ২টা থেকে। ভোট গ্রহণ শেষ হয় বিকেল পাঁচটায়।

আহাদ আলী নয়ন, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া)

Location :

Daulatpur

দীর্ঘ ১৭ বছর পর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্বেলন শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দৌলতপুর কলেজ চত্বরে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লার সভাপতিত্বে সম্বেলনে উদ্বোধক ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দীন আহমেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন।

সকাল ১০টায় জাতীয় সঙ্গীত ও পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে সম্মেলন শুরু হলেও ভোট গ্রহণ শুরু হয় দুপুর ২টা থেকে। ভোট গ্রহণ শেষ হয় বিকেল পাঁচটায়।

সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দু’জন, সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন চারজন আর সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন নয়জন নেতা।

রাত আটটার দিকে ভোটের ফলাফলে সভাপতি পদে রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা ৯২৫ ভোট পেয়ে পুনরায় সভাপতি হিসাবে বিজয়ী হয়েছেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিল্লাল হোসেন ৬৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন শের আলী সবুজ ও অধ্যাপক আতাউর রহমান।

প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে ৭১ জন করে উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের মোট ৯৯৪ জন ভোটার ছিলেন।

এদিকে টানা স্বৈরশাসনের পর মুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনকে ঘিরে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। প্রথমবারের মত ভোটের মাধ্যমে ওয়ার্ড থেকে উপজেলা কমিটি গঠন করাকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীদের আনন্দ ও উৎসবের কমতি ছিল না। সম্মেলন উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও বাজার ঘাটে তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন আর পোস্টার টানানো হয়।

সম্মেলনে অংশ নেয়া পিয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী আলম হোসেন বলেন, ১৭ বছর পরে আমরা নিজেরাই ভোট দিয়ে আমাদের নেতৃত্ব বেছে নিতে পারছি এটা সত্যি গর্বের বিষয়। আগে সবকিছু উপরে বসেই ঠিক হয়ে যেত। এখন তৃণমূলের কথা শোনা হচ্ছে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দীন আহমেদ বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের এমন উদ্যোগ আমরা স্বাগত জানাই। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তৃণমূলের অংশগ্রহণে এই সম্মেলন আমাদের রাজনীতির এক নতুন অধ্যায়। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা সংগঠনকে আরো সুসংগঠিত করতে চাই। সামনের দিনে আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে, আর তার জন্য এমন গণতান্ত্রিক চর্চায় আমাদের শক্তি যোগাবে। তাই আগামী দিনে যারা নেতৃত্ব আসবে তাদেরকে শক্ত হাতে দল পরিচালনা করতে হবে।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিনিধিত্ব নিজেরাই নির্ধারণ করেছেন, এটাই বিএনপির প্রকৃত শক্তি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নিয়মতান্ত্রিকভাবে সংগঠন চালানোর যে বার্তা দেশনায়ক তারেক রহমান দিয়েছেন, আমরা তার বাস্তব রূপ দেখতে পাচ্ছি দৌলতপুরে। সামনের দিনগুলোতে এই শক্তিকে নিয়েই আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন যে নেতৃত্ব আসবে, আশা করি তারা নতুন উদ্যোগে সংগঠনকে আরও এগিয়ে নিতে প্রান্তিক পর্যায়ের সকলকে সাথে নিয়ে সংগঠনের জন্য কাজ করবে।