চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে যাত্রীবেশে দুই ছিনতাইকারী এক রিকশা চালককে গলা কেটে হত্যা করে রিকশা ছিনতাই করেছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ৯টার সময় সীতাকুণ্ড পৌরসভার শেখপড়া এলাকায় একটি ডোবা থেকে পুলিশ জিহাদের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত রিকশা চালক হাবিবুর রহমান জিহাদ (১৪) সন্দ্বীপের মুছাপুর এলাকার দিদারুল আলমের ছেলে। তারা পৌর সদরের ছোবহানবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত।
জিহাদ সোবহানবাগ জিনিয়াস স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র ছিল। সে দিনের বেলায় পড়ালেখা করে রাতের বেলায় রিকশা চালিয়ে নিজ পড়ালেখার খরচের পাশাপাশি তার অভাবী সংসারেও খরচ যোগান দিত। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও রিকশা চালকরা জিহাদের খুনিদের বিচার চেয়ে বুধবার দুপুরে পৌর সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
জিহাদের খুনি বাপ্পি (২২) ও রাজিবকে (২৫) স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। তাদের দুইজনের বাড়ি সন্দ্বীপের হারামিয়া ইউনিয়নে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে জিহাদ রিকশা নিয়ে বের হলে দুই ছিনতাইকারী রিকশাটি ভাড়া করে পৌরসভার শেখপাড়া এলাকায় একটি নির্জন স্থানে নিয়ে জিহাদকে গলা কেটে হত্যা করে রিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। বুধবার সকালে তারা রিকশাটি উপজেলার কদমরসুল এলাকায় একটি গ্যারেজে বিক্রি করতে গেলে গ্যারেজের মালিকের সন্দেহ হলে রিকশার পেছনে থাকা মালিকের নাম্বারে ফোন দেন। এসময় তারা ছিনতাইকারী বুঝতে পেরে দুইজনকে আটক করে মালিককে খবর দেয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা চালক জিহাদকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে এবং লাশ কোথায় রেখেছে জানালে পুলিশ তাদের দেখানো ডোবা থেকে জিহাদের লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ছিনতাইকারী চক্র ব্যাটারি চালিত রিকশা ভাড়া নিয়ে চালককে হত্যা করে। রিকশাটি বিক্রি করতে গেলে স্থানীয়রা দুইজনকে আটক করে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করি। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’