আশুলিয়ায় আগুনে পুড়ে ছাই ১৭ দোকান

আশুলিয়ার জিরানী বাজারে আগুনে ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই, কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তুহিন আহামেদ, আশুলিয়া (ঢাকা)

Location :

Dhaka
আশুলিয়ায় আগুনে পুড়ে ছাই ১৭ দোকান
আশুলিয়ায় আগুনে পুড়ে ছাই ১৭ দোকান |নয়া দিগন্ত

আশুলিয়ার জিরানী বাজারে আগুনে পুড়ে টিনের দোকান, লাইব্রেরি, কাপড়ের দোকান, জুতার দোকান ও মুদি দোকানসহ কমপক্ষে ১৭টি দোকান এবং দোকানে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

রোববার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আশুলিয়া ও গাজীপুর মহানগরীর সীমান্তবর্তী জিরানী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুনের খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস থেকে প্রথমে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেন। আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় পরে সারাবো ফায়ার সার্ভিস থেকে আরো দু’টি ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে এবং প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে প্রায় আড়াই ঘণ্টার মতো সময় লাগে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে মুদি দোকান, লাইব্রেরি, কাপড়ের দোকান, জুতার দোকান ও টিনের দোকানসহ অন্তত ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

দোকান মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে দোকানপাট বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান তারা। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুনের খবর পেয়ে ছুটে আসেন বাজারে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।

সামি লাইব্রেরির মালিক আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তার দোকানে অন্তত এক কোটি টাকার উপরে মালামাল ছিল বলে দাবি করেন তিনি।

সাদ্দাম হোসেনের মুদি দোকানে ২২ লাখ টাকা, আহাদ নূর আলমের মুদি দোকানে প্রায় ৫০ লাখ, মাহাবুবের মুদি দোকানে ৫০ লাখ, জুম্মান মুন্সী মুদি দোকানে ২০-২২ লাখ, জুবায়েরের মুদি দোকানে ১৮-২০ লাখ, আশরাফ মিয়ার মুদি দোকানে ১৫ লাখ, আবুলের মুদি দোকান ও শাহিনের মুদি দোকানসহ অন্তত কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তাদের দাবি।

এছাড়া বাজারের বাইরে কেরু বেপারী মার্কেটের ইমরুলের কাপড়ের দোকান, লিজু মোল্লার কাপড়ের দোকান, মঞ্জুর কাপড়ের দোকান, আব্দুস সবুরের জুতার দোকান এবং আরিফের জুতার দোকানে আগুন লাগে। এতে সবকিছু পুড়ে যায়।

দোকান মালিকদের দাবি, তারা বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে লোনে টাকা নিয়ে দোকানে মালামাল তুলেছিলেন। এখন নি:স্ব হয়ে গেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব কুমার চৌধুরী জানান, আগুনে প্রায় দুই কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে বলে জানান তিনি।