রাজশাহীতে সোহেল রানা নামে অপহৃত এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন নুর ইসলাম (২৭), মো: টিটু (৩০), সাজিদুর রহমান সাজিদ (২১), রাজন ওরফে কাওছার (২২), তারেকুল ইসলাম (৫৫), রেজা আলম (১৮), রাকিব মহসিন ওরফে রিয়াদ (২২) ও ওমর আলী (৫০)।
তাদের মধ্যে ওমরের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরসিংপুর গ্রামে। অন্যদের বাড়ি নগরীর বিভিন্ন এলাকায়। আর ভুক্তভোগী সোহেলের বাড়িও বাগমারার নরসিংপুর গ্রামে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গাজিউর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে সোহেল রানা মামলার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে রাজশাহীর আদালতে যান। এসময় আদালতের প্রধান ফটকে পৌঁছলে কয়েকজন ব্যক্তি তাকে অপহরণ করেন। পরে অপহরণকারীরা সোহেল রানার ছোট ভাইয়ের কাছে মোবাইল ফোনে কল করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এসময় সোহেলকে নির্যাতন চালিয়ে তার আর্তচিৎকার মোবাইল ফোনে পরিবারের সদস্যদের শোনানো হয়। মুক্তিপণ না দিলে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়।
তিনি জানান, সোহেল রানার স্ত্রী দ্রুত ঘটনাটি মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) জানান। পরে অপহরণকারীরা মুক্তিপণের টাকা আনার জন্য সোহেল রানার স্ত্রীকে নগরীর কোর্ট স্টেশনের জামাল চত্বরে যেতে বলে। সোহেল রানার স্ত্রী কথামতো সেখানে যান। ডিবি পুলিশও তাকে অনুসরণ করে। পরে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুক্তিপণের টাকা নিতে আসা নুর ইসলাম ও রাজন ওরফে কাওছারকে ডিবি পুলিশ আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশ জানতে পারে যে সোহেলকে নগরীর মহিষবাথান উত্তরপাড়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে সোহেল রানাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এই অভিযানে সেখান থেকে অপহরণকারী চক্রের আরো পাঁচজন টিটু, সাজিদুর, তারেকুল, রেজা ও রাকিবকে আটক করা হয়। তবে ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরো কয়েকজন পালিয়ে যায়। পরে ঝাউতলা মোড় এলাকা থেকে ওমর আলীকে গ্রেফতার করে ডিবি।
আরএমপির মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানান, অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে রাজপাড়া থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।