ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় রাব্বি মিয়া (২০) নামে এক যুবকের ওপর গুলির ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, আহত রাব্বির মা ১০ জনকে আসামি করে নবীনগর থানায় একটি মামলা করেন।
গুলিবিদ্ধ রাব্বি উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে রাব্বি পরিবারের সাথে নবীনগর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝিকাড়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। পেশায় তিনি অ্যাম্বুলেন্স চালক।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন— নবীনগর উপজেলার পৌর এলাকার টিএনটিপাড়ার মো: আতাউর রহমান (৪৮), জাহিদ মিয়া (১৯), জুবায়েদ মুন্সী (১৯), মো: আহসান উল্লাহ (৪৪) ও মো: জসিম উদ্দিন (৪৪)। তারা সবাই মামলার এজহারনামীয় আসামি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ নভেম্বর টিএনটিপাড়ার মো: সানির (২০) সাথে একই পাড়ার মো: জিসানের কথা কাটাকাটি ও তর্ক হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সানি সেসময় জিসানকে ছুরিকাঘাত করেন।
ঝগড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষ সালিশ ডাকে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নবীনগর পৌর এলাকার কালীবাড়ি মোড়ের জমিদারবাড়ির মাঠে সানিসহ তার লোকজন ও জিসানসহ তার লোকজন সালিশে বসেন। সালিশ ছেড়ে ওঠার সময় জিসানসহ তার লোকজন সানির লোকজনের ওপর হামলা করে এবং গুলি চালায়। এতে রাব্বি গুলিবিদ্ধ হন। তার বুকে গুলি লাগে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত রাব্বি টিএনটিপাড়ার সানির সমর্থক বলে জানা গেছে।
নবীনগর থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) মো: খুরশিদ আলম বলেন, ‘গত নভেম্বর মাসে কথা কাটাকাটির জেরে সানি একপর্যায়ে জিসানকে ছুরিকাঘাত করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার সালিশ হয়। সালিশের রায়ে সম্মত না হয়ে জিসান ও তার লোকজন হামলা ও গুলি করে। এতে রাব্বি গুলিবদ্ধ হন।’
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় সালিশের সর্দারসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।’



