বরিশালে কালভার্ট ও খাল খননে বিএডিসির প্রকৌশলী

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উত্তম ভৌমিক ও বিএডিসি সেচ প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আতায়ে রাব্বি, উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ শিকদার চরকাউয়ার বিলের পোল থেকে নাপতি বাড়ি পর্যন্ত স্বনির্ভর খাল পরিদর্শন করেন।

আযাদ আলাউদ্দীন, বরিশাল ব্যুরো

Location :

Barishal
কালভার্ট ও খাল খননে বিএডিসির প্রকৌশলী
কালভার্ট ও খাল খননে বিএডিসির প্রকৌশলী |নয়া দিগন্ত

বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়ায় দু’টি কালভার্ট ও খাল সংস্কারের জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উত্তম ভৌমিক ও বিএডিসি সেচ প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আতায়ে রাব্বি, উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ শিকদার চরকাউয়ার বিলের পোল থেকে নাপতি বাড়ি পর্যন্ত স্বনির্ভর খাল পরিদর্শন করেন।

এলাকার বয়োবৃদ্ধ আমির শরীফ জানান, শহিদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮৭ সালে এই খালটি খনন করেন। এই ইউনিয়নের কর্ণকাঠিতে আরো একটি খাল ও পাশের বাকেরগঞ্জ চরামদ্দি ইউনিয়নে আরো একটি খাল খনন শেষে সেখানে সমাবেশও করেছিলেন।

এলাকার হাফেজ আব্দুলা আল মামুন বলেন, ২০০৪ সালে সাবেক মেয়র ও সাংসদ অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার দ্বিতীয় দফায় সংস্কার করেন।

এলাকাবাসী জানায়, ১২ বছর আগে নাপিত বাড়ির কাছে কালভার্টটি ভেঙে গেলে তা আর পুন:নির্মাণ করা হয়নি। যার ফলে জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নেয় এবং স্বনির্ভর খালটি ভরাট হয়ে যায়।

এদিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগ ২০১২ সালে চরকাউয়ার জিরো পয়েন্টে বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের সংযোগ সড়কের শেষ অংশে ৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণের কারণে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে পাশের দেড় হাজার একর ফসলি জমি অনাবাদি হয়ে পরে। ফলে ওই এলাকায় মোট আড়াই হাজার ফসলি জমিতে এখন আর ফসল হচ্ছে না।

এ নিয়ে দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় গত ২২ ও ২৫ আগস্ট দু’টি সংবাদ প্রকাশ হলে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর হয়। যার ফলে রোববার জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেনর নেতৃত্বে অন্য দফতরের কর্মকর্তারা চরকাউয়ায় পরিদর্শনে যান।