চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচাত ভাইয়ের কোদালের কোপে শাহ আলম সওদাগর (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটিয়ার পাড়া মোজাহের মেম্বারের বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শাহ আলম সওদাগর উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটিয়ার পাড়া মোজাহের মেম্বারের বাড়ি এলাকার মরহুম আশরাফ মিয়ার ছেলে এবং আধুনগর ফার্নিচার ব্যবসায়ী।
অন্যদিকে অভিযুক্ত শাহনেওয়াজ লাভলু (৪৩) একই এলাকার বাসিন্দা মোজাহের আহামদের পুত্র ও নিহতের চাচাতো ভাই।
জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে শাহ আলম সওদাগর নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে শাহনেওয়াজ লাভলুকে রাস্তায় বালির বস্তা রাখতে দেখা যায়। এ সময় শাহ আলম তাকে বাধা দিলে লাভলু ক্ষিপ্ত হয়ে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহ আলমের মেয়ে হুরাইন জান্নাত নোভা বলেন, ‘আমার আব্বু দোকানে যাওয়ার পথে লাভলুকে রাস্তার বালির বস্তা সরাতে বলেন। তখনই তিনি মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করে। আমি বের হয়ে দেখি আরো কোপ দিচ্ছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।’
শাহ আলমের বড় ভাই মনির আহমদ বলেন, ‘রাস্তার বালির বস্তা সরাতে বললে লাভলু ক্ষিপ্ত হয়ে কোদালের কোপ দেয়। পরে আবারো কোপ দিলে মাথা ফেটে মগজ বেরিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আমার ভাই মারা যান। তার স্ত্রী পারভিন আকতার তাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘রাস্তার পাশে বালির বস্তা সরাতে বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে লাভলুর কোপে শাহ আলম মারা যান।’
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কিশোয়ার সাদিয়া বলেন, ‘শাহ আলম নামের একজন রক্তাক্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। মাথায় কোপের আঘাতে মগজ বেরিয়ে গেছে। তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল।’
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, ‘চাচাতো ভাইয়ের কোদালের কোপে একজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’