সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় চাঁদা দাবি ও ৩৮টি দোকান বন্ধ করার অভিযোগকে ‘মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উল্লাপাড়া উপজেলা শাখা।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। উপজেলা জামায়াত আমির ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহজাহান আলী লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সলপ ইউনিয়নের নলসন্ধা নতুন বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি কিংবা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়ার মতো কোনো ঘটনাই জামায়াতের কেউ ঘটায়নি। নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, একটি মহল পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং গণমাধ্যমকে ভুল তথ্য সরবরাহ করছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ৩৮টি দোকান বন্ধের তথ্য সম্পূর্ণ সাজানো ও ভিত্তিহীন। স্থানীয় কোনো ব্যবসায়ী কিংবা সাধারণ মানুষও এমন অভিযোগ করেননি। তারা অভিযোগ করেন, প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করতে একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ছড়িয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে।
জামায়াত নেতারা জানান, বিগত সরকারের আমলে একটি মহল জোরপূর্বক নলসন্ধা এলাকায় নতুন বাজার স্থাপন করে, যার ফলে সরকারি ইজারাকৃত পুরাতন বাজার ভেঙে দেয়া হয় এবং দোকানদাররা ক্ষতিগ্রস্ত হন। নতুন সরকার গঠনের পর স্থানীয়দের দাবিতে পুরাতন বাজার পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেয়া হলে নতুন বাজারের এক কথিত বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান বাধা দেন। তিনি বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের পুরাতন বাজারে যেতে নিষেধ করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।
জামায়াতের অভিযোগ, এ উত্তেজনার ঘটনাকে রাজনৈতিক মোড় দিয়ে তাদের ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা চলছে। যিনি বিএনপি নেতা পরিচয় দিচ্ছেন, তার অতীতে ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ’-এর নৌকা প্রতীকের প্রচারণায় অংশ নেয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে—যা তার রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে প্রশ্ন তোলে।
জামায়াত নেতারা বলেন, যাচাই-বাছাই ছাড়া ভুল তথ্য প্রচার করলে নিরীহ মানুষের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয় এবং সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। তারা বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিহার করে নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশনের জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।



