পালিয়েছে যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক

হাটহাজারীতে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে শ্রমিক দলের নেতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিলো এলাকাবাসী

‘মান্নান শ্রমিক দলের মির্জাপুর ইউনিয়ন সভাপতি। তদন্ত করে দোষী যেই হউক তার বিচার হউক এটা আমরাও চাই।’

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা

Location :

Chattogram
হাটহাজারীতে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে শ্রমিক দলের আহ্বায়ককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশকে দিল এলাকাবাসী
হাটহাজারীতে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে শ্রমিক দলের আহ্বায়ককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশকে দিল এলাকাবাসী |নয়া দিগন্ত

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে আব্দুল মান্নান(৫০) নামের এক চাঁদাবাজকে।

বুধবার( ১১ জুন) হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

আব্দুল মান্নান মির্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির অংগ সংগঠন শ্রমিক দলের ইউনিয়ন আহ্বায়ক। এ সময় অতিষ্ঠ জনতার ধাওয়া খেয়ে এলাকা থেকে পালিয়েছে আরেক চাঁদাবাজ জাকির। সে মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক বলে জানা গেছে। দু’জনের বাড়ি মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড মনসুরাবদ এলাকায়।

এলাকাবাসী জানায়, গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর জাকির গ্রুপের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ এ চক্র এলাকায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা এলাকায় চাঁদাবাজি, জায়গা দখল, গাছ কাটা, পাহাড় দখলসহ নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। তাদের হুমকি-ধমকিতে এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভীত-সন্ত্রস্ত ও অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে।

স্থানীয়রা জানান, তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করায় মঙ্গলবার (১০ জুন) জাকির গ্রুপের লোকজন এলাকার দু’জনকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। তারা বর্তমানে চট্রগ্রাম মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন আছে। এসব ঘটনায় ১১ জুন দুপুরের দিকে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে জাকির গ্রুপের জাকির ও মান্নানকে ধাওয়া দেয়। এসময় সবাই পালিয়ে গেলেও আব্দুল মান্নান ধরা পড়ে যায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো: গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান মুঠোফোন রিসিভ করেননি।

তবে মির্জাপুর ইউনিয়নের অধিবাসী ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কৃষকদলের সিনিয়র সদস্য লায়ন উজ্জল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘মান্নান শ্রমিক দলের মির্জাপুর ইউনিয়ন সভাপতি। তদন্ত করে দোষী যেই হউক তার বিচার হউক এটা আমরাও চাই।’

হাটহাজারী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার নাজমুল হাসান জানান, মির্জাপুর ইউনিয়ন থেকে একজনকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেননি, তাই কোনো মামলা হয়নি।

হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু কাওসার মো: হোসেন বলেন, ‘আমি বাহিরে ব্যস্ত ছিলাম, ঘটনা জেনে পরে বলব।’