সিলেটে সেই পুুকুর থেকে দেড় লাখ ঘনফুট সাদাপাথর উদ্ধার

স্বেচ্ছায় পাথর জমা দেয়ার তিন দিনের আল্টিমেটাম শেষে অ্যাকশনে নেমেছে জেলা প্রশাসন। এবার অভিযানে পুকুর থেকে দেড় লাখ ঘনফুট সাদাপাথর উদ্ধার করা হয়েছে।

এমজেএইচ জামিল, সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet
পুকুর থেকে সাদাপাথর উদ্ধার
পুকুর থেকে সাদাপাথর উদ্ধার |নয়া দিগন্ত

স্বেচ্ছায় পাথর জমা দেয়ার তিন দিনের আল্টিমেটাম শেষে অ্যাকশনে নেমেছে জেলা প্রশাসন। এবার অভিযানে পুকুর থেকে দেড় লাখ ঘনফুট সাদাপাথর উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে ৬টা সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা ৬ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল ও লালবাগ এলাকার ৫টি পুকুর থেকে এসব সাদাপাথর উদ্ধার করা হয়।

সিলেট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরকার মামুনুর রশীদ এবং জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদি হাসান হৃদয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে উদ্ধারকৃত পাথর স্থানীয় এক ওয়ার্ড মেম্বারের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াৎ নয়া দিগন্তকে এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযানকালে কোনো ভূমি মালিক বা সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায়নি। অবৈধভাবে পাথর মজুদের সাথে জড়িত ক্রাশার মিল মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের স্বার্থে সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান রইল।‘

এর আগে সাদাপাথর উদ্ধারে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: সারওয়ার আলম তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। সেই আল্টিমেটামের মেয়াদ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেষ হয়েছে। প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময়ে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা স্বেচ্ছায় সাড়ে ৬ লাখ ঘনফুট পাথর ফেরত দিয়েছেন।

সিলেটের জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সবমিলিয়ে লুট হওয়া পাথরের মধ্যে ২৬ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ১১ লাখ ঘনফুট সাদাপাথর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

এদিকে প্রশাসনের আল্টিমেটাম শেষে সিলেট জেলায় অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এক আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেট মো: সারওয়ার আলম।

আদেশে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে প্রাকৃতিক সম্পদ ও পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও পাচারের ঘটনা ঘটছে। এসব কার্যক্রমের কারণে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।