বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় গত তিন দিন ধরে থেমে থেমে হালকা বৃষ্টিপাত অব্যাহত ছিল। হঠাৎ টানা বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে।
শনিবার (৩১ মে) টানা বর্ষণ আর ঝড়ো বাতাসের কারণে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও হাটবাজারে দেখা দিয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতা।
এতে উপজেলার বেশিরভাগ বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলতে পারেননি। ভারী বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইলেও তা ছিল থেমে থেমে। কিন্ত শনিবার ভোর থেকে টানা ভারী বৃষ্টির ফলে জনজীবনে নামে চরম ভোগান্তি। ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের বড়লেখা উত্তর চৌমুহনী, পাখিয়ালা চৌমুহনী, বাছিরপুর, হাতলিয়া, দক্ষিণভাগ, রতুলী, কাঠালতলী, পানিধার, টিলাবাজার, দোহালিয়া, পূর্ব-দক্ষিণভাগ, কাঠালতলী উত্তরভাগ সহ পূর্ব গাংকুল, দক্ষিণ গাংকুল, পৌরশহরের হাটবন্দ, বারইগ্রাম, আদিত্যের মহাল, মুছেগুলসহ বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে এবং অধিকাংশ বসতবাড়িতে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।
পৌরসভার বিভিন্ন কলোনিতে বৃষ্টির ও পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দেখা দিয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতা। হাকালুকি হাওরের পানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে হাওরপাড়ের তালিমপুর, বর্নি ও সুজানগর ইউনিয়নে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় হালকা যানবাহনের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়লেও ভারী যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেছে।
টানা ভারী বৃষ্টিতে উপজেলার দক্ষিণভাগ, কাঠালতলী, পৌরশহর, শাহবাজপুরসহ প্রত্যেকটি হাটবাজার ও পৌরশহরের অলিগলি তলিয়ে গিয়ে দোকানের ভেতর পানি ঢুকে ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। দিনভর বৃষ্টি আর রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় কেউ ঘর থেকে বের হতে পারেনি। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার জানান, ‘উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’