ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে দুই দিনেও নিখোঁজ পাঁচ বছরের শিশু আইমান সাদাবের খোঁজ পাওয়া যায়নি। গত শুক্রবার বেলা ১২টায় পর থেকেই নিজ বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয় শিশু সাদাব। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
রোববার (১৩ জুলাই) বিকেল ৩টায় পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, সন্তান হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তার পরিবার।
নিখোঁজ শিশু সাদাব পার্শ্ববর্তী নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বারগুড়িয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী আল-আমিনের ছেলে। বাবা প্রবাসী হওয়ার জন্মকাল থেকেই সে তার মা সুমাইয়া আক্তারের সাথে নানা বাড়ি গফরগাঁও উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দিঘীরপাড় (অতার বাড়ী) গ্রামের সুলতান মিয়ার বাড়িতে বসবাস করতো।
পুলিশ, স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ১২টায় শিশু সাদাব বাড়ি পাশে দোকানে হালখাতা অনুষ্ঠানে মাইক বাজা শব্দ শুনে দোকানে সামনে যায়। এরপরই নিখোঁজ হয় সাদাব। এ ঘটনায় রাতেই পাগলা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এ ঘটনার দুই দিন হলেও এখন পর্যন্ত শিশুটির কোনো সন্ধান মেলেনি।
থানার পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসেছেন। পরিবার থেকে কাউকে সন্দেহ করছে কি হবে না। বিষয়টি পুলিশ গভীরভাবে তদন্ত করছে।
শিশু সাদাবের নানা সুলতান মিয়া বলেন, ‘বাড়ির পাশে দোকানে সামনে থেকে আমার নাতিকে কে বা কারা নিয়ে গেছে কিংবা কেউ ষড়যন্ত্র করে মেরে ফেলেছে কিনা, কিছুই বলতে পারছি না। বাড়ি আশপাশের পুকুর-ডোবা ও স্বজনদের বাড়িঘর তল্লাশি চালানো হয়েছে, কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।’
শিশুটির মা সুমাইয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, তার একমাত্র ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা তাদের মোবাইলফোনে প্রথমে ২০ হাজার টাকা এবং পরে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দুই দফায় ২৮ হাজার টাকা পাঠানোর পর মোবাইলফোনগুলো বন্ধ করে দেয় অপহরণকারীরা।
তিনি আরো বলেন, ‘২৮ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়েছি। কিন্তু ছেলেকে ফেরত পাচ্ছি না। আমি আমার ছেলেকে জীবিত ফেরত পেতে চাই।’
এ ব্যাপারে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, ‘সাদাবের নিখোঁজের ব্যাপারে এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে এব্যাপারে পুলিশ কাজ করছে।’