নগরভবনে বিদায় সংবর্ধনায় রেজাই রাফিন সরকার

সিসিকের সকল উন্নয়নে রয়েছে প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানের ছোঁয়া

‘বিদায়ী প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান একজন দক্ষ এবং কর্মঠ ব্যক্তি। ২০০৩ সাল থেকে প্রায় দুই দশক তিনি সিলেটের মানুষকে সেবা দিয়েছেন। পৌরসভা থেকে উন্নীত সিটি করপোরেশনকে আজকের এই পর্যায়ে নিয়ে আসতে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’

আবদুল কাদের তাপাদার, সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet
নগরভবনে বিদায় সংবর্ধনায় রেজাই রাফিন সরকার
নগরভবনে বিদায় সংবর্ধনায় রেজাই রাফিন সরকার

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে বদলি হওয়ায় সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়েছে।

রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হয়।

সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকারের সভাপতিত্বে ও সচিব মো: আশিক নূরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, সিসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান খান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: জাহিদুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) মোহাম্মদ একলিম আবদীন, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) মোহাম্মদ উল্লাহ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, নির্বাহী প্রকৌশলী রাজি উদ্দিন খান, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আ ন ম মনছুফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী অংশুমান ভট্টাচার্য, উপ-সহকারী প্রকৌশলী এ টি এম সাইদুর রহমান প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম-সচিব) মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, ‘বিদায়ী প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান একজন দক্ষ এবং কর্মঠ ব্যক্তি। ২০০৩ সাল থেকে প্রায় দুই দশক তিনি সিলেটের মানুষকে সেবা দিয়েছেন। পৌরসভা থেকে উন্নীত সিটি করপোরেশনকে আজকের এই পর্যায়ে নিয়ে আসতে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সিলেটের রাস্তাঘাট, ফুটপাত, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ভূ-গর্ভস্থ পানির পাইপলাইন, বৈদ্যুতিক বাতিসহ সকল উন্নয়নে রয়েছে প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানের ছোঁয়া। এই শহরের প্রতিটি অলিতে-গলিতে পড়েছে তার পদচিহ্ন। শুধু প্রকৌশল নয়, সকল বিষয়ে ছিলো তার সমান দক্ষতা। দেখা যায়, নির্বাচিত পরিষদ থাকলে, অনেক কাজ তারাই সমাধান করে ফেলেন। কিন্তু সিসিকে এখন মেয়র, কাউন্সিলররা নেই। তাই সকল চাপ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর দিয়ে যাচ্ছে। এমন সময়ে নুর আজিজুর রহমানের মতো অভিজ্ঞ কর্মকর্তার বিদায়ের খবরে সত্যিই আমরা ব্যথিত হয়েছি। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে যাচ্ছেন। সেখানে কর্মপরিধি আরো প্রসারিত। রাজধানীতে থাকলেও তিনি সিলেটের জন্য কাজ করবেন বলে আশা করছি।

বিদায় সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন- সিসিকের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারিয়া সুলতানা, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) জয়দেব বিশ্বাস, প্রধান এসেসর মো: আব্দিুল বাছিত, ট্যাক্সেশন অফিসার জামিলুর রহমান, লাইসেন্স কর্মকর্তা মো: রুবেল আহমদসহ সিসিকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে বিদায়ী প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমি আবেগাপ্লুত। সিলেটের মানুষ ও সিসিকের আমার সহকর্মী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আমাকে এত ভালোবাসা দিয়েছেন, যা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আমি যখন প্রথম আসি, তখন সদ্য পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত হয়েছে সিলেট। সেই দিন আর এই দিন, মাঝখানে প্রায় ২০টি বছর কেটে গেছে। মাঝে কিছুদিন বরিশালে ছিলাম। তারপর আবার সিলেটে। সিসিক প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশে এক দল ক্ষমতায় থাকলে সিলেটের মেয়র হতেন বিরোধী দলের। সেক্ষেত্রে সিসিকের বরাদ্দ বা উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিলো। তাছাড়া সিসিকের রাজস্ব আয়ও কম। তবুও এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সিলেটকে একটি সুন্দর, আধুনিক ও পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমি আমার অবস্থান থেকে কাজ করেছি। সিলেটবাসী আমার আত্মার আত্মীয়। আমি কতটুকু কি করতে পেরেছি সেটা বিবেচনা করবেন সিলেট নগরবাসী।’