‘যারা দেশ থেকে পালিয়ে যায়, তারা কখনো দেশপ্রেমিক হতে পারে না’

‘ঐক্যের কারণে স্বৈরাচার দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে, আমাদের ওই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। যাতে তারা আবার দেশে প্রবেশ করতে না পারে।’

আবদুল গফুর, নীলফামারী
গণঅভ্যুত্থান দিবসের আয়োজনে সমবাবেশ
গণঅভ্যুত্থান দিবসের আয়োজনে সমবাবেশ |নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী অঞ্চল পরিচালক অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন বলেছেন, ‘যে দলের নেত্রী ও নেতারা দেশ ছেড়ে পালাতে পারে তারা কখনো দেশপ্রেমিক হতে পারে না। তারা বলেছিল, ‘আমরা পালাবো না। আমরা অমুকের বাড়িতে আশ্রয় নিব।’ কিন্তু আমাদের সবার প্রচেষ্টায় আজকের এই দিনে স্বৈরাচার হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে।’

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখা আয়োজিত গণমিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুরু থেকে ভারতের দালালি করে আসছে। তারা জানত ভারতের আর্শিবাদপুষ্ট ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে পারব না। তারা ভারতে পালিয়ে গিয়ে আবারো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, যে মানুষ স্বৈরাচারকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে, সেই বাংলার মানুষ আর তাদের গ্রহণ করবে না। তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ঐক্যের কারণে স্বৈরাচার দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে, আমাদের ওই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। যাতে তারা আবার দেশে প্রবেশ করতে না পারে।

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দেয়া সময়ে আমরা নির্বাচন করতে রাজি আছি। কিন্তু তার আগে সংস্কার ও বিচার চাই। সংস্কার আর বিচার ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন করতে দেয়া হবে না।’

নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দাবি করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে যাতে সবাই অংশ নিতে পারে, সব দলের প্রতিনিধি নিয়ে সরকার গঠন হতে পারে এজন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে।’

নীলফামারী বড় বাজার থেকে বিশাল গণমিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আন্তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট আল ফারুক আব্দুল লতীফ।