সিলেটে বিপিজেএ’র অভিষেক অনুষ্ঠানে উচ্চকিত শহীদ সাংবাদিক তুরাব হত্যার বিচারের দাবি

ফটো সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও সমাজের বাস্তবচিত্র তুলে ধরেন। তারা দেশ ও সমাজের জন্য নিস্বার্থভাবে কাজ করেন। যার প্রমাণ জুলাই অভ্যুত্থানে নিজের জীবন আত্মোৎসর্গকারী ফটো সাংবাদিক শহীদ তুরাব।

আবদুল কাদের তাপাদার, সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet
নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজেএ) সিলেট বিভাগীয় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক হয়েছে। অভিষেক অনুষ্ঠানে শহীদ সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যার বিচারের দাবি উচ্চকিত হয়ে উঠেছে সিলেটের শীর্ষ রাজনৈতিক ও গণমাধ্যম নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে। একইসাথে নেতারা আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

শনিবার (২৬ জুলাই) সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে বিপিজেএ’র এ অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি নাজমুল কবীর পাভেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আসকার আমিন রাব্বির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।

এছাড়া বিএনপির সিলেট নগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, মহানগর জামায়াতের আমির ও দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সিলেট- ১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও দলের জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আশিকুর রহমান আশিক, বিপিজেএ’র নবনির্বাচিত সভাপতি নাজমুল কবির পাবেল, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নয়া দিগন্তের ব্যুরো প্রধান আবদুল কাদের তাপাদার, দৈনিক প্রভাতবেলার সম্পাদক কবির আহমদ সোহেল বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, ‘ফটো সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও সমাজের বাস্তবচিত্র তুলে ধরেন। তারা দেশ ও সমাজের জন্য নিস্বার্থভাবে কাজ করেন। যার প্রমাণ জুলাই অভ্যুত্থানে নিজের জীবন আত্মোৎসর্গকারী ফটো সাংবাদিক শহীদ তুরাব।’

বক্তারা বলেন, ‘প্রেস লেখা ভেস্ট পরা অবস্থায় সাংবাদিক তুরাব গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। যে পুলিশ কর্মকর্তা গুলি করেছেন তিনি সাংবাদিক পরিচয় জেনেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। হয়ত ব্যক্তি তুরাব অথবা সাংবাদিকতা পেশার প্রতি তার ঘৃণা ছিল। যে কারণে সাংবাদিক তুরাবকে ‘টার্গেট কিল’ করা হয়।’

তারা আরো বলেন, ‘সাংবাদিকরা রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। ঐক্য অপশক্তির দৌরাত্ম্য দূর করতে পারে। তুরাব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির ব্যাপারে সিলেটের সাংবাদিক সমাজকে সজাগ থাকতে হবে।’

অভিষেক অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ সাংবাদিক তুরাবসহ সকল শহীদ এবং মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এছাড়া শহীদ সাংবাদিক তুরাবকে নিয়ে ‘এখন টিভি’ সিলেটের ব্যুরো প্রধান গোলজার আহমেদের নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে অভিষেক উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারকের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।