বোদা (পঞ্চগড়) সংবাদদাতা
গত বছরের মতো পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভার হাজী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (এইচডিএইচ) থেকে এবারো এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা শতভাগ পাশ করেছে। শুধু শতভাগ পাশ নয়, পরীক্ষার্থীরা সন্তোষজনক মার্কস পেয়ে যে চমক দেখিয়েছে, তাতে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ভাসছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। জানা যায়, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২১ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এতে জিপিএ-৫ পেয়েছে সাতজন পরীক্ষার্থী এবং প্রথম বিভাগ জিপিএ ৪.৫০ থেকে ৪.৯৪ এর মধ্যে মার্কস পেয়ে পাশ করেছে ১৪ জন পরীক্ষার্থী। জিপিএ ৫ প্রাপ্তরা হলেন, লাবিব শাহরিয়ার, আব্দুল্লাহ আল মুবিন, শুবর্ণ সরকার, সবুজ চন্দ্র বর্মন, জীবন চন্দ্র সেন, প্রাপ্তি বর্মন ও রোকন জামান।
জানা যায়, ২০১৯ সালে নিজ উদ্যোগে নিজের নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন হাজী মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ‘২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা বিগত বছরের তুলনায় অবশ্যই কষ্টসাধ্য ছিল। আর ব্যতিক্রম ধারায় এবার শুধুমাত্র মেধাবী শিক্ষার্থীরাই এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছে। এক্ষেত্রে অবশ্য হাজী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বিগত বছরগুলোর ধারায় এবারো সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করতে পেরেছে।’
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা জানান, মনে অনেক ভয় ছিলো তবুও মনের মতো ফলাফল অর্জন করতে পেরেছি। আমাদের এ চমৎকার ফল অর্জনের পেছনে বাবা-মা ও শিক্ষক -শিক্ষিকাগণের উৎসাহ ও নিরলস প্রচেষ্টা অবশ্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এ বিষয়ে হাজী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ডা: ইমাম হোসেন বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। ওরা যদি আরো মনযোগী হতো, তাহলে শতভাগ জিপিএ-৫ পাওয়া যেতো। আমি আশা করছি, শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের অক্লান্ত পরিশ্রমে ডে বাই ডে প্রতিষ্ঠানটি আরো ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে।’
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রতিটি শিক্ষার্থীকে নিজেদের সন্তানতুল্য ভেবে খুব গুরুত্বের সাথে পড়াশোনা করাই। অনেক সময় অমনোযোগী শিক্ষার্থীদের বেলায় বাবা-মাকে ডেকে পরামর্শ দিয়ে থাকি। আমার আশা, সব শিক্ষার্থীরা যেন আলোকিত মানুষ হয়ে গড়ে ওঠে। সেকারণে জন্মলগ্ন থেকে দৃষ্টিকাড়া রেজাল্ট করে আসছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চায়ও নিয়মিত অবদান রেখে যাচ্ছে।’