লোহাগড়ায় বৃদ্ধ কৃষকের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা, হত্যার দাবি পরিবারের

এক কৃষককে কলস দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করার চার দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডাক্তার জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

Location :

Narail
লোহাগড়া থানা
লোহাগড়া থানা |সংগৃহীত

শরিফুজ্জামান, লোহাগড়া (নড়াইল)

নড়াইল লোহাগড়ার চর-কালনা গ্রামে ইকরাম মোল্যা (৬৫) নামে এক কৃষককে কলস দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করার চার দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডাক্তার জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

রোববার (২৪ আগস্ট) ভোরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই কৃষক মারা যান।

নিহত ইকরাম মোল্যা ওই গ্রামের মরহুম ইমান উদ্দিন মোল্যার ছেলে। তিনি কৃষি কাজের পাশাপাশি ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে ইকরামের ছেলে শিশু আরিফুলকে মারধর করেন ওসমান মোল্যা। এদিন সন্ধ্যায় চর-কালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে ইদ্রিস মেম্বারের চায়ের দোকানে চা খেতে যাচ্ছিলেন ইকরাম মোল্যা। পথিমধ্যে দোকানের কাছাকাছি পৌঁছালে আরিফুলকে মারা নিয়ে একই এলাকার খলিল মোল্যার ছেলে ওসমান মোল্যার সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওসমান চায়ের দোকানে রাখা পানি ভরা কলসি নিয়ে ইকরামের ঘাড়ে সজোরে আঘাত করেন। এতে তিনি আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

আরো জানা যায়, শনিবার (২৩ আগস্ট) তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরের বোয়ালমারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হলে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় রোববার (২৪ আগস্ট) সকালে তিনি মারা যান।

সরেজমিনে রোববার (২৪ আগস্ট) সকালে নিহতের বাড়িতে গেলে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন, ইকরামুলকে কলস দিয়ে শরীরে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।

তবে মেডিক্যালের ডেথ সার্টিফিকেট অনুযায়ী ওই ব্যক্তি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওসমান মোল্যার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওই ব্যক্তির শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। চিকিৎসকের দেয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। পরিবারের অভিযোগ থাকলে অবশ্যই লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে।