পাকুন্দিয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লক্স পরিদর্শনে ১৭ সদস্যের বিদেশী চিকিৎসকদল

প্রতিনিধিদলের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের ছয়জন, যুক্তরাষ্ট্রের চারজন, ভূটানের চারজন, নেদারল্যান্ডের একজন এবং কম্বোডিয়ার দু’জন চিকিৎসক।

মুহিব্বুল্লাহ বচ্চন, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ)

Location :

Pakundia
পাকুন্দিয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লক্স পরিদর্শনে ১৭ সদস্যের বিদেশী চিকিৎসকদল
পাকুন্দিয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লক্স পরিদর্শনে ১৭ সদস্যের বিদেশী চিকিৎসকদল |নয়া দিগন্ত

কিশোরগঞ্জে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন এসেছেন পাঁচটি দেশের চিকিৎসকের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদল।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছান প্রতিনিধি দলটি। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করেন তারা।

প্রতিনিধিদলের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের ছয়জন, যুক্তরাষ্ট্রের চারজন, ভূটানের চারজন, নেদারল্যান্ডের একজন এবং কম্বোডিয়ার দু’জন চিকিৎসক। এছাড়া ইউনিসেফের বাংলাদেশে নিযুক্ত কয়েকজন প্রতিনিধিরাও তাদের সাথে ছিলেন। পরিদর্শনের অংশ হিসেবে তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ও নার্সদের সাথে দু’দফা চিকিৎসার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

জাতিসঙ্ঘ জরুরি শিশু তহবিল (United Nations International Children's Emergency Fund) ইউনিসেফের তত্ত্বাবধানে এ পাঁচ দেশের চিকিৎসকের দলটি বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানিয়েছেন ইউনিসেফের কিশোরগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক ডা: বেনজির।

তিনি বলেন, তিন দিনের সফরে গত সোমবার বাংলাদেশে আসেন পাঁচটি দেশের ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। প্রথম দিন স্বাস্থ্য অধিদফতর পরিদর্শন করেন তারা। গতকাল কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল এবং আজ পাকুন্দিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন তারা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার কথা রয়েছে।

পরিদর্শন শেষে তারা জানান, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে যেমন শিশুদের জন্য আলাদা চিকিৎসা কর্নার রয়েছে ঠিক তেমনি এশিয়ার অন্যন্য দেশগুলোতেও এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশের একটি প্রতিনিধিদল এখানকার হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তাছাড়া এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসার মান ভালো হলেও রোগীর তুলানায় ডাক্তার সঙ্কট রয়েছে।

পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: নূর-এ-আলম খান জানান, আমাদের হাসপাতালে শূন্য থেকে ১৮ বছর বয়সের শিশুদের ডায়াবেটিস, হাইপ্রেসারসহ গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি রোগের জন্য পিএনসিডি কর্নার চালু করা হয়েছে। এ কর্নারটিতে সরকারের পাশাপাশি ইউনিসেফ অর্থায়ন করে থাকে। শিশুদের চিকিৎসা পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করতেই মূলত বিভিন্ন দেশের চিকিৎসক ও ইউনিসেফের প্রতিনিধিরা এখানে এসেছেন।