নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ছাব্বির হোসেন খোকা নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণের ঘটনায় আহত মামুন নামে এক মুদি দোকানদারের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের মাঝিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় এলাকাবাসী ছাত্রলীগের ওই নেতাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
স্থানীয়রা জানায়, ছাত্রলীগ নেতা খোকা গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় প্রবেশ করে নানা অপকর্ম করার চেষ্টা করছিল মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে আটক করে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবের ভাতিজা জাইদুল ইসলাম বাবু আটকের খবর জানতে পেরে খোকাকে ছাড়িয়ে নিতে পিস্তল দিয়ে গুলিবর্ষণ করে। এতে মুদি দোকানদার মামুন গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় এলাকাবাসী জড়ো হয়ে ধাওয়া করলে পালিয়ে যায় বাবু। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী ছাত্রলীগ নেতা খোকাকে গণধোলাই দিয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত ব্যবসায়ী মামুনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
ব্যবসায়ী মামুনের ভাই বলেন, ‘বিকেলে মোটরসাইকেলে করে তিন যুবক আসে। তাদের মধ্যে একজন হেলমেট পরা, বাকি দুজনের মুখে রুমাল বাঁধা ছিল। এদের মধ্যে বাবু নামে একজনকে চিনতে পেরেছি। সে গুলি করেছে।’
মামুনের স্ত্রী বলেন, ‘আমি বাসায় ছিলাম না। বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। পরে বিকেলে জানতে পারি আমার স্বামীকে গুলি করা হয়। সে কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না।’
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্ট) সালাউদ্দিন কাদের জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছিল উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছাব্বির হোসেন খোকা। এ ঘটনায় আইনিব্যবস্থা নেয়া হবে।