গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। ভাড়াটিয়া কিলার ভাড়া করে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। এর পেছনে যারা টাকা দিয়ে ইন্ধন জুগিয়েছে, তাদেরও দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় গাজীপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত তুহিনের স্ত্রী মুক্তা বেগম এ দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের স্ত্রী মুক্তা বেগম সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রয়াত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এবং সিসিটিভি ফুটেজসহ সকল তথ্য যেভাবে আপনারা সামনে এনেছেন, আমি ও আমার পরিবার আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই আমার স্বামীর হত্যাকারীদের অপরাধ প্রকাশ হয়েছে। না হলে এটি হয়তো সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের মতো প্রমাণ হারিয়ে যেত। আজ আপনারা পাশে আছেন বলেই আমি এখনো কিছুটা শক্ত আছি। এসময় তিনি বর্তমান সরকারের আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ প্রধানের সাথে পরিবারের পক্ষ থেকে জরুরি সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুক্তা বেগম অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সাত দফা দাবি জানান।
দাবিগুলো - সাংবাদিক তুহিন হত্যার সাথে জড়িত সকল আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে হবে। মামলার বাদি, ঘটনাস্থলের সকল সাক্ষী, আমার পরিবার ও প্রতিদিনের কাগজ সম্পাদকের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলা ৯০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত খুনিদের কারাগারে রাখা। দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করায় তুহিনের পরিবার ও সন্তানের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। সারাদেশের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আলাদা হটলাইন চালু করার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক মো: খায়রুল আলমসহ পরিবারের কয়েক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।