বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রাক্কালে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীরা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। যাদের মধ্যে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, লেখক ও শিল্পী ছিলেন। আমি এ বর্বরতম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করার এবং বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করে ইতিহাসের দায় শোধ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম শহরের দেওয়ানবাজারের কার্যালয়ে মহানগর জামায়াত আয়োজিত শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা গোটা মানবজাতিকে হত্যার শামিল। এ রকম জঘন্যতম মানবতাবিরোধী অপরাধের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।’
তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ড যেমন গুরুতর অপরাধ, তেমনি ভুয়া বয়ান তৈরি করে প্রকৃত খুনিদের আড়াল করে অন্যদের উপর দায় চাপানোও জঘন্য অপরাধ। কাজেই কারা এ জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল ও প্রকৃত হত্যাকারী কারা ছিল তা উদঘাটন করা জাতির বৃহত্তর স্বার্থে অত্যন্ত জরুরি। দীর্ঘ দেড় যুগের ফ্যাসিবাদী শাসনে ভুয়া বয়ানের ভিত্তিতে মিথ্যা মামলা করে, প্রচলিত সাক্ষ্য আইন উপেক্ষা করে, রাজনৈতিক উদ্দেশে বিচারিক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় নেতাদের সাথে জঘন্য অবিচার করা হয়েছে।’
মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহর পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, ডবলমুরিং থানা আমির ফারুকে আজম, চকবাজার থানা আমির আহমেদ খালেদুল আনোয়ার ও কোতোয়ালি থানা নায়েবে আমির অধ্যাপক আব্দুজ্জাহের প্রমুখ।
এ সময় মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: সিদ্দিকুর রহমান, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য হামেদ হাসান ইলাহী ও প্রফেসর মুহাম্মদ সাইফুল্লাহসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



