যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের আবেইতে অবস্থিত জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় নিহত সৈনিক শামীম রেজার (৩০) গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর কালুখালিতে চলছে স্বজনদের শোকের মাতম।
সৈনিক শামীম রেজা রাজবাড়ীর কালুখালি উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম দ্বিতীয়।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকেই তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। শামীম ছিল তার বাবা-মায়ের একমাত্র কর্মক্ষম ছেলে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ওই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘শহীদ শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।’
একই সাথে শহীদদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এর আগে, শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সুদানের কাদুগলি লজিস্টিক বেসে ওই ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে ছয়জন বাংলাদেশী নিহত এবং আটজন আহত হন।
শহীদ শান্তিরক্ষীরা হলেন— কর্পোরাল মো: মাসুদ রানা, এএসসি (নাটোর), সৈনিক মো: মমিনুল ইসলাম, বীর (কুড়িগ্রাম), সৈনিক শামীম রেজা, বীর (রাজবাড়ি), সৈনিক শান্ত মন্ডল, বীর (কুড়িগ্রাম), মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ) ও লন্ড্রি কর্মচারী মো: সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)।
আহত শান্তিরক্ষীরা হলেন— লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান, পিএসসি, অর্ডন্যান্স (কুষ্টিয়া), সার্জেন্ট মো: মোস্তাকিম হোসেন, বীর (দিনাজপুর), কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি, সিগনালস (ঢাকা), ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম, ইএমই (বরগুনা), সৈনিক মো: মেজবাউল কবির, বীর (কুড়িগ্রাম), সৈনিক মোসা: উম্মে হানি আক্তার, ইঞ্জিনিয়ার (রংপুর), সৈনিক চুমকি আক্তার, অর্ডন্যান্স (মানিকগঞ্জ), সৈনিক মো: মানাজির আহসান, বীর (নোয়াখালী)।



