কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পল্লীতে ওয়ারেছ বিশ্বাস (৬৪) নামের এক বৃদ্ধ সাতদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে কুমারখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তার ভাগ্নে মো: জুয়েল রানা।
নিখোঁজ ওয়ারেছ উপজেলার চরসাদীপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর মরহুম অলিমদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।
পরিবারের দাবি, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। তবে এই অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি।
থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে ওয়ারেছ বিশ্বাস ৩৩ শতাংশ জমি প্রায় ১১ লাখ টাকায় বিক্রি করেন একই এলাকার মরহুম কাদের বিশ্বাসের ছেলে সাইদুল বিশ্বাসের (৪৫) কাছে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। কিন্তু ওই জমি মাপার সময় দেখা গেছে প্রায় ৩ শতাংশ জুড়ে ঘোষপুর মজিবর বিশ্বাস জামে মসজিদ রয়েছে। সেজন্য সাইদুল তার কেনা জমি বুঝে দেয়ার জন্য নিয়মিত মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে ওয়ারেছকে। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ হলেও সামাধান হয়নি। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকে। এরইমধ্যে ১৯ আগস্ট দুপুর থেকে ওয়ারেছকে খুঁজে পাচ্ছেন না স্বজনরা।
নিখোঁজ ওয়ারেছ বিশ্বাসের স্ত্রী মোমেনা খাতুন বলেন, ‘আমার কোনো বেটাপুত নেই। জমির জন্য সাইদুলরা খুব চাপ দিচ্ছিল। বারবার মারতে আসে, হুমকি দেয়। এরই মধ্যে ১৯ আগস্ট দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি। আত্মীয় স্বজন, হাটেবাজারে সবখানে খুঁজেও পাইনি। কী হলো কিছু বুঝে পাচ্ছি না।’
ভাগ্নে জুয়েল রানা বলেন, ‘জমির চাপ সইতে না পেরে মামা হয় আত্মগোপনে গেছেন, নইলে প্রতিপক্ষরা কিছু একটা করেছে।’
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে জমি ক্রেতা সাইদুল বিশ্বাস বলেন, ‘টাকা দিয়ে জমি কিনেছি। কিন্তু বুঝিয়ে দিচ্ছে না। তবে কাউকে হুমকি দেয়া হয়নি। নিখোঁজের বিষয়ে কিছু জানি না। আর তাদের অভিযোগ বানোয়াট।’
চরসাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আলাউদ্দিন সরদার বলেন, ‘১৯ আগস্ট পদ্মা নদীর খেয়াঘাটে ওয়ারেছের সাথে শেষ দেখা হয়েছিল। জিজ্ঞেস করলে, তিনি বললেন, এক জায়গা যাচ্ছি। কাউকে বলার দরকার নেই।’
কুমারখালী থানার উপ-পরিদর্শক হুমাউন কবির বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পাশাপাশি উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।’