চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বটতল এলাকায় গত রোববার সন্ধ্যায় বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের মধ্যে মিরসরাইয়ের একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতরা হলেন- মিরসরাই সদর ইউনিয়নের জামালের দোকান এলাকার গৃহবধূ রিংকু দাস, তার বড় ছেলে মজহারুল হক চৌধুরী, কিষাণ দাস ও অর্পণ দাস। মা রিংকু দাস আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে মারা গেছেন।
জানা গেছে, রোববার (১৬ নভেম্বর) দুর্ঘটনা কবলিত সিডিএম পরিবহনের বাসটিতে করে রিংকু দাস তার দুই ছেলেকে নিয়ে মিরসরাই উপজেলার মিঠাছরা থেকে বাড়বকুণ্ড বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সীতাকুণ্ড উপজেলার মীরেরহাট এলাকায় তাদের বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা, এক বছর আগে রিংকু দাসের স্বামী মারা গেছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে মানুষ থেকে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে চলছেন এবং ছেলেদের পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছেন। দুই ছেলেকে নিয়ে মা রিংকু দাসের ভালো দিন যাচ্ছিলো। রোববার সন্ধ্যায় দুই ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে সীতাকুণ্ডের মীরেরহাট এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। দুর্ঘটনায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই হতদরিদ্র পরিবারের তিনজন চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বুধবার ভোরে মা রিংকু দাস মারা গেছেন। এখনো আইসিইউতে চিকিৎসাধীন তার দুই ছেলে। আইসিইউ খরচ ও ওষুধ খরচ দেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব না।
তার স্বজনরা সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। বিকাশ নাম্বার 01836-203257 (সজল দাশ, রোগীর মামা) ও 01724-504743 (সুশঙ্কর, রোগীর চাচা)



