কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর পল্লী বিদ্যুতের অফিসের বিলিং শাখাসহ সার্ভার শাখায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় ডিজিএমকে প্রায় আধঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্রীনগর জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
পরে বেলা সোয়া ১১টার দিকে শ্রীনগর থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ডিজিএম মুক্ত হন এবং তালা কেটে বিলিং শাখা খোলা হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ শ্রীনগর জোনালের ডিজিএম খন্দরকার মাহামুদুল হাসান বলেন, ‘আন্দোনকারী প্রায় ২০-২৫ জন আমার অফিসকক্ষে আসেন। কিছুক্ষণ পর বিলিং শাখায় তালা ঝুলিয়ে দেন ও সার্ভার সেকশন রুমের দরজা ভেতর থেকে লক করে নিচে চলে যান। পরে এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস চত্বর ত্যাগ করেন।’
এ সময় কয়েকজন গ্রহক বলেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে তারা সেবা পাচ্ছেন না। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গত দু’দিন ধরে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের পরিমাণও বাড়ছে। এমনটা চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ ক্ষেপে যাবে।
আন্দোলনকারী কর্মচারীদের একজন জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারাও তাদের দাবি বাস্তবায়নে কাজ বন্ধ রাখছেন।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি হামিদুল ইসলাম লিংকন বলেন, ‘আমি গ্রাহকদের প্রতিনিধি। গ্রাহকদের ভোগান্তির সৃষ্টি হয় এমন কোনো ধরনের আন্দোলন সংগ্রামকে সমর্থন করি না। তবে যারা আন্দোলন করছেন তাদের দাবি যদি যৌক্তিক হয় তাহলে সেটি অন্যভাবেও আদায় করা সম্ভব। আমি তাদের অনুরোধ করছি, তারা অবশ্যই তাদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে পারেন। তবে কোনো ভাবেই এ আন্দোলন যেন গ্রাহকদের ভোগান্তির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।’