নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রবাসীর শিশু সন্তানকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় ওই চক্রের এক মহিলাসহ চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় অপহৃত শিশু আব্দুল্লাহ মেজবাকে (৮) অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
রোববার (৩১ আগস্ট) ভোর ৬টার দিকে নিরিবিলি নামে একটি পিকনিক স্পটের কক্ষ থেকে অপহৃত ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশের স্থানীয় উজ্জ্বল শেখের দোকানে গেলে তাকে অপহরণ করা হয়।
অপহৃত আব্দুল্লাহ মেজবা (৮) নড়াইল লোহাগড়ার কোটাকোল ইউনিয়নের ঘাঘা গ্রামের প্রবাসী সালাউদ্দিন মৃধার ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে বাড়ির পাশের স্থানীয় উজ্জ্বল শেখের দোকানে যায় শিশু আব্দুল্লাহ। সেখানে অবস্থানকালে দোকানি উজ্জ্বল শেখ তাকে দুটি ‘হিস্টাসিন’ ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে ফেলে। পরে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করার পরিকল্পনা করে।
এরপর অপহরণকারীরা রাতেই ওই শিশুকে নিয়ে লোহাগড়া পৌর শহরের রামপুর এলাকায় নিরিবিলি পিকনিক স্পটের একটি কক্ষে লুকিয়ে রাখে।
পরে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের ভুল বুঝিয়ে থানায় গিয়ে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দেয়। তবে তাদের কথাবার্তায় অসংগতির কারণে পুলিশের সন্দেহ হয় এবং পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
পরে অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অপহরণকারী চক্রের এক মহিলাসহ চার সদস্যকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার ঘাঘা গ্রামের উত্তর পাড়ার শহীদ শেখের ছেলে দোকানি উজ্জ্বল শেখ (৩৬), বাবুল লস্করের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩৫), তার ছেলে সাকিব লস্কর (১৭), পাশের যোগিয়া গ্রামের হানিফ শেখের ছেলে ভ্যানচালক জান্নাতুল (১৮)।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, ‘শিশু অপহরণের ঘটনায় ভোর থেকে অভিযান চালিয়ে অক্ষত অবস্থায় ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। আটক অপহরণকারীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশু অপহরণের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে এবং আটক ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’