পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। অনুষ্ঠানে প্রায় ছয় শতাধিক নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন, কলম, ইসলামিক বই, চাবির রিং, শিবির পরিচিতি স্টিকার ও টিশার্ট উপহার দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ‘নবীন বরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন’।
আয়োজকরা জানান, এসব উপহার নবীনদের নৈতিকতা, জ্ঞানচর্চা ও আদর্শ জীবনের পথে উৎসাহ জোগাবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুহতাসিম বিল্লাহ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের সাবেক প্রশিক্ষক ইঞ্জিনিয়ার নাইম হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ টিচার্স ট্রেনিং কলেজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছিল। শিবিরকে ধন্যবাদ জানাই এ ঐতিহাসিক স্থানেই নবীন বরণের আয়োজন করায়। দেখতে দেখতে ১৭ বছর পার হয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার। আজকের এ সুন্দর ক্যাম্পাসে তোমরা নতুন যাত্রা শুরু করছ এটি নিঃসন্দেহে আনন্দের বিষয়। নিষ্ঠা ও পরিশ্রম থাকলে এখান থেকেও অনেক বড় কিছু করা সম্ভব।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা দুর্নীতি। যদি নেতৃত্ব সৎ ও আল্লাহভীরু হয় তবে পরিবর্তন অনেক দ্রুত সম্ভব। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ, সৎ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে।’
শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধান আলোচক মুহতাসিম বিল্লাহ বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের রাজনীতি শুধু মিছিল-সমাবেশের রাজনীতি নয়; এটি নৈতিকতা, শিক্ষা, চরিত্র ও নেতৃত্ব গঠনের রাজনীতি। আমরা বিশৃঙ্খলা নয় বরং ক্যাম্পাসে শান্তি ও সহযোগিতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য এমন শিক্ষার্থী তৈরি করা যারা হবে দক্ষ, সৎ ও দেশপ্রেমিক—কারণ নৈতিকভাবে দৃঢ় শিক্ষার্থীরাই সমাজে সুবিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পাবনা জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবদুল গাফফার খান, পাবনা শহর শিবিরের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, সাবেক অফিস সম্পাদক মো: মামুন, শহর শিবির সভাপতি গোলাম রহমান জয়, সেক্রেটারি এস এম হাবিবুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয় শিবির সভাপতি তুষার মাহমুদ ও সেক্রেটারি আবু হুরায়রা মুন।