লালমোহনে সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের দাবি

‘ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধে মাঝে মধ্যে মনে হয় বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাই। আমাদের বাড়িতে থাকা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটা একটা অভিশাপ আমাদের জন্য। এই অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই।’

লালমোহন (ভোলা) সংবাদদাতা

Location :

Lalmohan
লালমোহনে সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের দাবি
লালমোহনে সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের দাবি |নয়া দিগন্ত

সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহন-মঙ্গলসিকদার মহাসড়কের হেলিফ্যাড সংলগ্ন পূর্ব পাশেই তৈরি হয়েছে ময়লার ভাগাড়। উপজেলার পৌর শহরের সব ময়লা-আবর্জনা এনে ফেলা হচ্ছে মহাসড়কের পাশেই। দুর্গন্ধে যানবাহনের চালক-যাত্রীসহ পথচারীরা রয়েছেন চরম দুর্ভোগে। লালমোহন বাজার পার হলেই হেলিপ্যাড এলাকায় দেখা মেলে এ ময়লার ভাগাড়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ওই এলাকা পার হওয়ার সময় পরিবহনের যাত্রীরা নাকমুখ চেপে রাখেন। ময়লার স্তূপ পেরিয়ে গেলেও দুর্গন্ধ আটকে থাকে বিভিন্ন যানবাহনের মধ্যে। দীর্ঘদিন ধরেই এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রী, চালকসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

লালমোহন পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার ১১টি ওয়ার্ডের মধ্যে পৌরশহর থেকে প্রতিদিন বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা এনে এখানে স্তুপ করা হচ্ছে । এই বর্জ্য ফেলার জন্য পৌরসভার নিজস্ব জমি না থাকায় ভাগাড় বা ডাম্পিং স্টেশন নেই। ফলে পৌরসভা থেকে হরিগঞ্জ, দালাল বাজার ও মঙ্গলসিকদার মহাসড়কের হেলিপ্যাড এলাকায় যাতায়াত সড়ক ঘেঁষে ময়লা ফেলা হয়।

স্থানীয়রা বলেন, দুর্গন্ধের কারণে এখানে থাকা দায়। নাক-মুখ চেপে চলাচল করতে হয়। আমাদের দাবি, ময়লার ভাগাড়টি এখান থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়া হোক ।

অটোরিকশা ও সিএনজি চালক আবুল হোসেন, জসীম, সিরাজ, রফিক, লালমোহন বাজারের মেডিসিন ব্যবসায়ী ওই সড়কের নিয়মিত পথচারী মো: আলাউদ্দিন বলেন, এ এলাকায় এলেই দুর্গন্ধে নাক চেপে ধরে চলতে হচ্ছে প্রতিদিন।

পথচারীরা বলেন, ‘গাড়িতে দুর্গন্ধ ঢুকে যায় খুব কষ্ট হচ্ছে ওইখান দিয়ে যেতে। অনেক সময় যাত্রীরা বমি করে ফেলে। আমরা নিজেরাও এখানে এলেই দম নেয়া বন্ধ রেখে গাড়ি চালাই।’

হ্যালিপ্যাড এলাকার বাসিন্দা মো: জাকির হোসেন বলেন,‘ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধে মাঝে মধ্যে মনে হয় বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাই। আমাদের বাড়িতে থাকা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটা একটা অভিশাপ আমাদের জন্য। এই অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই।’