নওগাঁর রাণীনগরের দিনমজুর বাকপ্রতিবন্ধী লালমন (৩৭) বিরল (এমএনডি) রোগে আক্রান্ত। এই রোগের চিকিৎসাব্যবস্থা সজলভ্য না হওয়ার কারণে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছে না তার পরিবার।
লালমন উপজেলার রাতোয়াল শোলাপাড়ার দিনমজুর আমজাদের ছেলে। দিন যতই যাচ্ছে ততই দুর্বল হয়ে পড়ছেন দুই সন্তানের জনক লালমন। তাই তার চিকিৎসার জন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের সার্বিক সহযোগিতা চেয়েছে লালমনের পরিবার।
লালমনের মামা আব্দুল মজিদ জানান, লালমনরা শোলারপুকুর পাড়ে খাস জমিতে বসবাস করে। পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষ হচ্ছে লালমন ও তার বাবা। তারা দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালায়। লালমন ছোটবেলা থেকেই ভালোভাবে কথা বলতে পারে না। অনেকটা ইশারার মাধ্যমে ভাষা প্রকাশ করে। লালমন দিনমজুরের কাজ করতো। এর মধ্যে সে বিয়ে করে। তার পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান আছে। কিন্তু গত এক বছর যাবত লালমন শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ায় কাজকর্ম করতে পারে না। লালমনের হাত ও পায়ের আঙ্গুলের গোশত শুকিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে লালমন ভালোভাবে দাঁড়াতে পারছে না।
তিনি আরো জানান, এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা-রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসার চেষ্টা করা হলেও ডাক্তাররা জানান- দেশে এমন বিরল রোগের উন্নত কোনো চিকিৎসা নেই। পরবর্তীতে ঢাকায় চীনের আকুপাংচার সেন্টারে যোগাযোগ করা হলে তারা দুই মাসের থেরাপীর জন্য দুই লাখ টাকা চায়, কিন্তু এতোগুলো টাকা লালমনের দিনমজুর পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। বর্তমানে লালমনের পরিবারে চরম অর্থসঙ্কট দেখা দিয়েছে।
লালমনের মা লাইলি জানান, দিনমজুরের কাজ না করলে সংসার চলে না। গরীব পরিবারে আল্লাহ কেন এমন বিরল রোগ দিলেন! তবুও আমরা সাধ্যমতো ছেলের চিকিৎসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দেশে এই জটিল রোগের চিকিৎসা না থাকায় অর্থাভাবের আর চিকিৎসা করাতে পারছি না। বর্তমানে একজন মানুষের আয়ে সংসার কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে চলছে। তাই সরকারসহ বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে হয়তো বা লালমন সুস্থ হয়ে উঠতো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান জানান, খোঁজখবর নিয়ে লালমনকে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।



