সৈয়দপুরের রাফি হত্যা মামলার ৪ আসামি ঢাকা থেকে গ্রেফতার

সৈয়দপুর থানার ওসি ফইম উদ্দিন বলেন, ‘মামলার পর থেকে আসামিদের গ্রেফতারে ব্যাপক তৎপরতা চালানো হয়। মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা

Location :

Saidpur
সৈয়দপুরের রাফি হত্যা মামলার ৪ আসামি ঢাকা থেকে গ্রেফতার
সৈয়দপুরের রাফি হত্যা মামলার ৪ আসামি ঢাকা থেকে গ্রেফতার |নয়া দিগন্ত

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে রাফি (২৪) হত্যা মামলার চার আসামিকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (২৫ মে) বেলা ৩টার দিকে তাদেরকে নীলফামারী আদালতে সোপর্দ করে সৈয়দপুর থানা পুলিশ।

আসামিরা হলেন- মরহুম আজিবর রহমানের ছেলে মনা (৩০), আব্দুল বারির ছেলে হৃদয় (২৪), রমজানের ছেলে রনি (২০) ও বাবরের ছেলে নয়ন (২৩)। এরা সকলেই সৈয়দপুর শহরের ধলাগাছ সুখীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

এর আগে শনিবার রাত ও দিনভর অভিযান চালিয়ে তাদের ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ মে রাত ১০টার দিকে সৈয়দপুর শহরের সুখীপাড়া এলাকায় ধানক্ষেত থেকে মাথা থেতলানো, সারা শরীর জখম করা অবস্থায় রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রাত ১টার দিকে লাশের পরিচয় মেলে।

নিহত যুবক রাফি (২৪) শহরের কয়ানিজপাড়া এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে। এ ঘটনায় সে রাতেই ১১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। এর প্রেক্ষিতের ওই রাতেই প্রধান আসামি মরহুম আজিবর রহমানের ছেলে সোনাকে (৩৪) গ্রেফতার করে পুলিশ।

ঘটনার পর থেকে আসামিরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পলিয়ে ছিলেন। মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফইম উদ্দিন বলেন, ‘মামলার পর থেকে আসামিদের গ্রেফতারে ব্যাপক তৎপরতা চালানো হয়। কিন্তু পলাতক থাকায় তাৎক্ষণিক তাদের খোঁজ মেলেনি। পরে মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে চারজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদেরকেও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।’

উল্লেখ্য, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে আসামিদের সাথে নিহত রাফির বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে আসামিরা রাফির বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এতে মামলা করলে আসামিরা আরো ক্ষিপ্ত হয় এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এর একমাস পরেই পরিকল্পিতভাবে রাফিকে রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। পরে লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে হত্যাকারীরা। পরে লোকজন লাশ দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।