গাইবান্ধায় নারী শ্রমিকরা পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় কম মজুরি পেয়ে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। জীবিকার তাগিদে কঠিন পরিশ্রম করলেও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, গাইবান্ধা সদর থেকে সাঘাটা হয়ে জুমারবাড়ী আঞ্চলিক সড়কের পাশে নারী শ্রমিকরা মাথায় করে পাথর বহন করে মিশ্রণ মেশিনে দিচ্ছেন।
৫৫ বছর বয়সী নারী শ্রমিক ময়মনা বেগম জানান, ‘পুরুষদের সমান কাজ করলেও তাদের চেয়ে কম মজুরি পান। মালিকপক্ষ তাদের অবহেলা করে।’
পারুল বেগম নামে আরেক নারী শ্রমিক জানান, ‘সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কাজ করে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা মজুরি পান। অথচ পুরুষ শ্রমিকরা একই কাজ করে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা মজুরি পান।’
ময়নামতি নামে এক নারী শ্রমিক বলেন, ‘তারা বৈষম্যের শিকার। কাজের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না।’ সরকারের এই বিষয়ে নজর দেয়ার দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সাঘাটা উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুন্নবী রাশেদ জানান, ইসলামী জীবনব্যবস্থা অনুযায়ী সকল শ্রমিকের অধিকার ফিরিয়ে দিতে তারা বদ্ধপরিকর।
গাইবান্ধা মহিলা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রিক্তু প্রসাদ বলেন, ‘সমকাজে নারীরা সম অধিকার পাচ্ছেন না। গ্রামীণ অবহেলিত নারীদের অধিকার বাস্তবায়নে তারা কাজ করছেন।’ নারী শ্রমিকদের মজুরি বৈষম্য দূর করতে সরকারের বিভিন্ন দফতরের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি।
গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল ওয়ারেস জানান, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে তারা কাজ করছেন।’ ভবিষ্যতে বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে শ্রমিকদের বৈষম্য দূর করা হবে বলে জানান তিনি।