চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ (৩৭) নামে এক বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৭০ নম্বর মেইন পিলার-সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শহিদুল ইসলাম উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের লস্কর আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহিদুল ইসলামসহ পাঁচ-ছয়জনের একটি দল সীমান্তের ৭০ নম্বর পিলারের পাশ দিয়ে ভারতের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ভারতের মেটেরিয়া ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে শহিদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুলির শব্দ শোনার সাথে সাথে তার সাথে থাকা অন্যরা দৌঁড়ে বাংলাদেশে ফিরে আসতে সক্ষম হন।
পরে বিএসএফ সদস্যরা নিহত শহিদুল ইসলামের লাশ নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
ঘটনা সম্পর্কে সীমান্ত ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মইন উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাটি স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনেছি। পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।’
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘শনিবার বিকেলে সীমান্তের ৭০ নম্বর মেইন পিলারের কাছে কয়েকজন ভারত সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিএসএফ গুলি ছোড়ে। এতে শহিদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। পরে বিএসএফ সদস্যরা তার লাশ নিজেদের সাথে নিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করে নিহতের লাশ ফেরত আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে এবং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের গুলিবর্ষণ ও প্রাণহানির ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে উভয় দেশের দায়িত্বশীল মহলকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।



