চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনা

এবার মারা গেলেন বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী লিশান মজুমদার

লিশান বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ফালগুনকরা গ্রামের আবদুল মন্নান মজুমদারের একমাত্র ছেলে।

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী লিশান মজুমদার
বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী লিশান মজুমদার |নয়া দিগন্ত

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়ার পথে কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে গুরুতর আহত বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী শাহেদ মজুমদার লিশান মারা গেছেন।

বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিহতের চাচাত ভাই সৈকত মজুমদার ও প্রতিবেশী আবু বকর সুজন।

লিশান বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ফালগুনকরা গ্রামের আবদুল মন্নান মজুমদারের একমাত্র ছেলে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ঢালা এলাকায় গত ৫ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রামমুখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সাথে কক্সবাজারমুখী লিশানের স্বজনদের বহনকৃত মাইক্রোবাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান লিশানের বোন ফারজানা মজুমদার লিজা ও ফারহানা মজুমদার টিজা, মা রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পী, বোনের শাশুড়ি রুমি বেগম ও বোনের ননদ সাদিয়া পাটোয়ারী। আহত হন লিশান মজুমদার, দুলাভাই উদয় পাটোয়ারী ও ভাগিনা সানাদ পাটোয়ারী।

খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন, ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও প্রশাসন আহতদেরকে উদ্ধার করে চকরিয়া ও কক্সবাজারের হাসপাতালে ভর্তি করায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য লিশান মজুমদারকে প্রথম দু’ দিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় লিশান মজুমদারকে বুধবার সকালে ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

স্ত্রী ও দু’ মেয়ের পর এবার একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাবা আবদুল মন্নান মজুমদার এখন বাকরুদ্ধ।

বুধবার সন্ধ্যায় নিহতের প্রতিবেশী আবু বকর সুজন বলেন, ‘একটি দুর্ঘটনায় পরিবারের চারজন মারা যাওয়ায় একা হয়ে পড়েছেন আবদুল মন্নান মজুমদার। তাকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা কারো জানা নেই।’