লক্ষ্মীপুরে উঠোন বৈঠকে ড. রেজাউল করিম

ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জামায়াত আপোসহীন

আমাদের দেশের মানুষ অতিশয় সংবেদনশীল ও শান্তিপ্রিয়। তারা একটি শান্তির দেশ সর্বোপরি একটি শান্তিময় সমাজ দেখতে চান। দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজী মুক্ত পরিবেশে সাচ্ছন্দ্যের সাথে বসবাস করতে চান।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

Location :

Lakshmipur
লক্ষ্মীপুরে জামায়াত আয়োজিত উঠোন বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম
লক্ষ্মীপুরে জামায়াত আয়োজিত উঠোন বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম |সংগৃহীত

ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা ও দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে জামায়াত সব সময়ই আপোসহীন সব সময় আপোসহীন ছিলো এবং আগামী দিনেও থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরে সেক্রেটারি ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

তিনি শুক্রবার (২১ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড জামায়াত আয়োজিত এক উঠোন বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ওয়ার্ড সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুরে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নাসির উদ্দিন মাহমুদ, লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াতের আমীর আবুল ফারাহ নিশান ও নায়েবে আমির জহিরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন যুব নেতা আনোয়ার হোসেন, আব্দুল মতিন ও মুরাদ হোসেনস প্রমূখ।

ড. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের দেশের মানুষ অতিশয় সংবেদনশীল ও শান্তিপ্রিয়। তারা একটি শান্তির দেশ সর্বোপরি একটি শান্তিময় সমাজ দেখতে চান। দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজী মুক্ত পরিবেশে সাচ্ছন্দ্যের সাথে বসবাস করতে চান। আমরা এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি, যে সমাজে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিক আইনের সকল সুযোগ ভোগ করবেন। মানুষে মানুষে কোন বৈষম্য থাকবে না। দেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত। এজন্য আগামী দিনে আপনাদেরকে সকলের অকুণ্ঠ সমর্থন ও ভালবাসা খুবই জরুরি। তিনি সে স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানের আপোসহীন থাকার আহবান জানান।

তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা গণতন্ত্র ও মানবতার শত্রু। তারা ২০০৮ সালে পাতানো ও সমঝোতার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় বাকশালীরা জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করে পর পর ৩ টি তামাশা ও ভাঁওতাবাজীর নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নবায়ন করে নিয়ে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর অপশাসন-দুঃশাসন চালিয়েছে। রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনের জন্য নির্মম দলন-পীড়ন চালানো হয়েছে। কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে জাতীয় নেতৃত্বকে হত্যা করে দেশের পবিত্র জমিনকে রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত করা হয়েছে। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি বরং ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমে তাদেরকে লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। তিনি নির্বাচনের আগেই গণভোটের আয়োজন করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় জুলাই বিপ্লব অর্থহীন হয়ে পড়বে।