কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে ‘বাস্তুভিটাহীন’

অসহায় অর্জুন বিশ্বাস ও আব্দুর রহীমকে ঘর বানিয়ে দিলো সেনাবাহিনী

কিছু দিন আগে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কুশিয়ারার ডাইকের পাশে গালিমপুর গ্রামের নদী ভাঙনে কয়েকটি অসহায় গরীব পরিবার ভিটা বাড়িহীন হয়ে পড়ে।

কিবরিয়া চৌধুরী, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)

Location :

Nabiganj
অসহায় অর্জুন বিশ্বাস ও আব্দুর রহীমকে ঘর বানিয়ে দিলো সেনাবাহিনী
অসহায় অর্জুন বিশ্বাস ও আব্দুর রহীমকে ঘর বানিয়ে দিলো সেনাবাহিনী |নয়া দিগন্ত

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সেনাবাহিনীর মানবিক কাজে হাসি ফুটেছে অসহায় অর্জুন বিশ্বাস ও আব্দুর রহীমের পরিবারের মুখে। কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে ‘বাস্তুভিটাহীন’ দুটি পরিবার পেয়েছে মাথা গুজার ঠাঁই। সেনাবাহিনীর মানবিক সেবা নিয়ে এলাকায় প্রশংসা কুড়িয়েছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নির্মিত ঘর দুটি ‘বাস্তুভিটাহীন’ দুটি পরিবারকে হস্তান্তর করেন। এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সেনাকর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দুটি পরিবারকে ঘরের চাবি ও ঘরের বাকি সংস্কারের জন্য নগদ কিছু টাকা দেন নবীগঞ্জ ও বানিয়াচং সেনা ক্যাম্পের দায়িত্ব প্রাপ্ত ইনচার্জ মেজর আশরাফুল ইসলাম তামিম।

বন্যায় বাস্তুভিটাহীন পরিবার দীঘলবাক ইউনিয়নের গালিমপুর গ্রামের অর্জুন বিশ্বাসের পরিবারে তিন মেয়ে এক ছেলে মোট ছয়জন। ও একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে এক মেয়েসহ মোট সদস্য পাঁচজন। এই দুটি পরিবারকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নতুন নির্মিত ঘর দুটি বুঝিয়ে দেয়া হয়। এসময় স্থানীয় মেম্বার আকুল মিয়া সহ গ্রামের বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কুশিয়ারার ডাইকের পাশে গালিমপুর গ্রামের নদী ভাঙনে কয়েকটি অসহায় গরীব পরিবার ভিটা বাড়িহীন হয়ে পড়ে। সেনাবাহিনীর বিশেষ টহল টিম কুশিয়ারা ডাইক পরিদর্শনে গেলে এই দুটি পরিবারের চিত্র চোখে ধরা পড়ে ফলে তাদেরকে নতুন বাড়ি ও ঘর করে দিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।