গাজীপুরে আলোচিত রনি হাসান হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফাহাদ সরকার টুটুলকে (৩১) গ্রেফতার করেছে র্যাব। আসামির কাছ থেকে দু’টি মোবাইল ফোন, একটি মোটরসাইকেল, একটি চাইনিজ ফোল্ডিং নাইফ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার র্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত মিডিয়া) পারভেজ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতার আসামিকে সদর মেট্রো থানায় সোপর্দ করলে পুলিশ রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামি ফাহাদ সরকার টুটুল গাজীপুর মেট্রো সদর থানার হাড়ীনাল এলাকার বাশির সরকারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলে।
র্যাব কর্মকর্তা পারভেজ রানা জানান, ২৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বারান্দায় রেখে অজ্ঞাত আসামিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সাবিনা আক্তার (৩৯) ও তার পরিবারের সদস্যরা ওই হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে লাশটি তার স্বামী রনির বলেন শনাক্ত করেন। সাবিনা আক্তার জানান যে রনির শরীরের পিঠে, ঘাড়ে এবং দুই পায়ের উরুতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় সাবিনা আক্তার গাজীপুর মেট্রো সদর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি আমলে নিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদেরকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। ক্লুলেস মামলার আসামি ফাহাদ সরকার টুটুলকে গাজীপুর মেট্রো সদর থানাধীন মনুরখোলা এলাকা থেকে শনিবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয়।
পারভেজ রানা আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ফাহাদ সরকার টুটুল হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন এবং আর্থিক লেনদেনের বিরোধের জেরে রনিকে হত্যা করা হয়। পরে হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা হিসেবে চালানোর জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বারান্দায় রেখে সে এবং তার সহযোগীরা কৌশলে পালিয়ে যান।



