বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) প্রথমবারের মতো শোকেসিং বিকেএসপি ট্যালেন্ট ও বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়। প্রতিবছর বিকেএসপি‘র উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে চলে যাওয়া প্রশিক্ষণার্থীদের পরবর্তী জীবনের প্লাটফর্ম তৈরি করে দেয়ার লক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানটির অডিও ভিজুয়্যল সেন্টারে ব্যতিক্রমধর্মী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিকে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে যারা নিবেদিত প্রাণ হিসেবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন তাদের সম্মাননা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়।
বিকেএসপি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মুনীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ ১১৪ জন প্রশিক্ষণার্থীদের গত ছয় বছরের সেরা অর্জন ও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্জিত সাফল্য বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, ক্লাব ও বাহিনীর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তুলে ধরা হয়।
উত্তীর্ণদের মধ্যে আর্চারি- ১১ জন, অ্যাথলেটিক্স- পাঁচজন, ফুটবল- ১৮ জন, ক্রিকেট- ২৭ জন, হকি- নয়জন, সাঁতার- দু’জন, বাস্কেটবল- চারজন, বক্সিং- চারজন, জিমন্যাস্টিক্স- একজন, জুডো- একজন, কারাতে- পাঁচজন, শ্যুটিং- ১০ জন, টেবিল টেনিস- পাঁচজন, তায়কোয়ানডো- একজন, টেনিস- তিনজন, ভলিবল- তিনজন ও উশুতে- পাঁচজন।
পরে প্রথমবারের মতো বিকেএসপি থেকে কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদকে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়। বরেণ্য এ ক্রীড়া সংগঠক বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন, ইয়ং মেরিনার্স ক্লাব ও আরামবাগ ক্লাবের সাথে দীর্ঘ ২৪ বছর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বে ছিলেন।
সমাপনী বক্তব্যে বিকেএসপি’র মহাপরিচালক বলেন, ‘বিকেএসপি’র খেলোয়াড়রা প্রশিক্ষণ শেষে তাদের যথাযথ মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন বাহিনী, সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্লাব দ্বারা সঠিকভাবে মূল্যায়িত হবে। ফলে একদিকে যেমন তারা লাভবান হবে তেমনি ভবিষ্যতে এ খেলোয়াড়দের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা দেখে অন্য ক্ষুদে খেলোয়াড়রা বিকেএসপিতে যোগদানে উৎসাহিত হবে। ফলে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নতি হবে। এ লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনে যারা নিঃস্বার্থভাবে সেবা দিয়ে গেছেন তাদের স্মরণ করা উচিত। তারই পদক্ষেপ হিসেবে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদকে সম্মাননা দেয়া হয়। ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’