সোনাগাজীতে ছোট ফেনী নদীর ওপর স্রোতের তোড়ে ভেঙে যাওয়া মুছাপুর রেগুলেটর পূর্ণ নির্মাণের দাবিতে উপজেলা ও পৌর জামায়াতের উদ্যোগে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
রোববার (৪ মে) সকালে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
তিন উপজেলা সোনাগাজী, দাগনভুঞা ও কোম্পানিগঞ্জের হাজারো মানুষের ঘর-বাড়ি, সড়ক, ফসলি জমি,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির ভাঙনের কবল থেকে রক্ষায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে মানববন্ধনের পর উপজেলা প্রশাসনকে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো: মোস্তফার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সোনাগাজীর কৃতি সন্তান বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ডা: ফখরুদ্দিন মানিক।
পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি মহসিন ভুঞার সঞ্চালনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ফেনী জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ফখরুদ্দিন, সোনাগাজী পৌর আমির মাওলানা কালিম উল্যাহ, নবাবপুর ইউনিয়ন আমির জিয়াউর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর আবদুল মান্নান, চর চান্দিয়া জামায়াত আমির মজিবুর রহমান, সোনাগাজী উপজেলা মডেল থানা ছাত্রশিবিরের সভাপতি রফিক উদ্দিন নোবেল, চর মজলিশপুর ইউনিয়নের জামায়াত সেক্রেটারি মাওলানা মো: হানিফ, চর দরবেশ ইউনিয়নের জামায়াতের আমির মাওলানা মো: হোসাইন প্রমুখ।
এছাড়া উপজেলা ও ইউনিয়নের আমিরসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ‘২০২৪ সালে ভারতের বাঁধভাঙ্গা সর্বগ্রাসী পাহাড়ি ঢলে ফেনী জেলার সব উপজেলা ও নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা এবং হাজার হাজার বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যায়। জমির ফসল নষ্ট হয় ও পুকুরের মাছ ভেসে যায়। সর্বগ্রাসী বন্যার পানি নদী, খাল-বিল উপচিয়ে গ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানির প্রবল চাপে সোনাগাজী ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমানায় ছোট ফেনী নদীর ওপর নির্মত মুছাপুর রেগুরেটর নদীর পানি ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
এতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর, চর হাজারী, চরপার্বতী ইউনিয়ন ও সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া, চরদরবেশ, চর মজলিশপুর ইউনিয়ন ও দাগনভূঞা উপজেলার আংশিক এলাকা মহামারি ভাঙনের সৃষ্টি হয়। ইতোমধ্যে শত শত বাড়িঘর, হাজার হাজার একর ফসলি জমি ভেঙে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শত শত পরিবার রাস্তার ভিখারিতে পরিণত হয়েছে।
এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে উক্ত রেগুলেটর নির্মাণ করা না হলে ছোট ফেনী নদীর সর্বগ্রাসী ভাঙনে ওই উপজেলা গুলোর মানচিত্র ছোট হয়ে আসবে।’
মানববন্ধন শেষে জামায়াত নেতা ও প্রধান অতিথি ডা: ফখরুদ্দিন মানিকের নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসানের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ‘এটা তিন উপজেলার তৃণমূল মানুষের জীবন মরণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত নির্মাণের দাবির বিষয়ে আবেদন আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেবো।