মেহেদীর রং না শুকাতেই সড়কে ঝরল নববধূর প্রাণ

ওই নারীসহ তিনজন মোটরসাইকেলে কুয়াকাটার দিকে যাচ্ছিল। দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের পেছন থেকে ওই নারী সড়কে ছিটকে পড়ে যায়। কিন্তু মোটরসাইকেলটি তখন না থামিয়ে দ্রুত চালিয়ে যায়।

আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা

Location :

Barguna
নয়া দিগন্ত

মেহেদীর রং শুকাতে না শুকাতেই সড়কে ঝড়ে গেল তানিয়া আক্তার নামে এক নববধূর প্রাণ।

শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের মানিকঝুড়ি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তানিয়া আক্তার বরগুনা আমতলীর কালিবাড়ী গ্রামের জামাল মৃধার মেয়ে। এছাড়া গত জুন মাসে নাঈম মিয়া নামে বরগুনার এক সেনা সদস্যের সাথে তার বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।

জানা যায়, তানিয়া শনিবার দুপুরে একটি বিশেষ কাজে মোটরসাইকেলে করে কুয়াকাটা যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মানিকঝুড়ি নামক স্থানে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে সড়কে পড়ে যান তিনি। এ সময় তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান ঘটনাস্থলে থাকা ট্রাকচালক রুহুল আমিন রকি। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালে রাত ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ট্রাকচালক রুহুল আমিন রকি বলেন, ‘ওই নারীসহ তিনজন মোটরসাইকেলে কুয়াকাটার দিকে যাচ্ছিল। দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের পেছন থেকে ওই নারী সড়কে ছিটকে পড়ে যায়। কিন্তু মোটরসাইকেলটি তখন না থামিয়ে দ্রুত চালিয়ে যায়। পরে আমি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’

নিহতের চাচা জাকারিয়া মৃধা বলেন, তানিয়া বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহত তানিয়াকে সঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ওই নববধূ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মারা গেছেন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে মোটরসাইকেলচালক পালিয়ে গেছেন।