ধুনটে ভারী বৃষ্টি ও বাতাসে তলিয়ে গেছে কৃষকের আমন ধান

টানা দু’দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জমিতেই ভাসছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালি ধান।

Location :

Dhunat
ধুনটে তলিয়ে যাওয়া পাকা ও আধাপাকা আমন ধান।
ধুনটে তলিয়ে যাওয়া পাকা ও আধাপাকা আমন ধান। |নয়া দিগন্ত

ধুনট (বগুড়া) সংবাদদাতা

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চলতি মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে নিম্নাঞ্চলের পাকা ও আধাপাকা আমন ধান তলিয়ে গেছে। টানা দু’দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জমিতেই ভাসছে কৃষকের স্বপ্নের সোনালি ধান। নিম্নাঞ্চল ও মাঝারি উঁচু জমিতে পানি জমে গেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ধানচাষিরা। বৃষ্টির পানিতে জমে থাকা আর্দ্রতা ও বাতাসের প্রভাবে অনেক জায়গায় কাঁচা ধানের গাছ হেলে পড়েছে। এতে কৃষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে গভীর উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া, নিমগাছী, এলাঙ্গী ও গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ফসলি মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে।

ইসলামপুর ঈরঘাট গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান জানান, তিনি এ বছর ৯০ শতক জমিতে হাইব্রিড-১০৩ জাতের ধান রোপণ করেছেন। কিন্তু গত দু’দিনের বৃষ্টিতে তার পুরো জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে।

ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ছামিদুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১৫ হাজার ৪৫৩ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। ফলনও ভালো হয়েছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস থাকায় নিয়মিত মাঠ পরিদর্শনের পাশাপাশি কৃষকদের আগাম সতর্ক করা হয়েছিল।’

তিনি আরো বলেন, ‘ধান পেকে থাকলে দ্রুত কর্তন করতে, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলে জমির আইল কেটে পানি বের করে দিতে, হেলে পড়া গাছ সোজা করে বেঁধে দিতে এবং দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে বাদামী ঘাসফড়িংয়ের আক্রমণ দেখা দিলে ধানে বিলি কেটে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছে।’