মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এমএজি ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সিলেটে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ নজরুল একাডেমী প্রাঙ্গণে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আলোর অন্বেষণ’-এর আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, ‘দেশ মাতৃকার গর্বিত সন্তানেরা কোনো দলের নয়, তারা জাতির সম্পদ। বিএনপি ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যথাযথ সম্মান ও মূল্যায়নে বিএনপি অঙ্গীকারাবদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানী ছিলেন দেশ মাতৃকার সত্যিকারের সাহসী ও বীর সন্তান। কিন্তু পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে তার বাবাকে বড় করতে গিয়ে বাবার অর্জনও বিসর্জন দিয়েছেন। শহীদ জিয়া ও জেনারেল ওসমানীসহ রণাঙ্গনের সাহসী বীরদের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, তারা নিজেরাই আজ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সম্মিলিতভাবে দেশকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার মুক্ত করেছি। কিন্তু রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে আছে। এদের সরাতে প্রয়োজন একটি গণতান্ত্রিক সরকার। আমাদের নেতা তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা রূপরেখা দিয়েছেন। এই রূপরেখার ভিত্তিতেই আগামী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠিত হবে। এজন্য দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল ও জনতার মাঝে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক সভাপতিত্বে সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন যমুনা ওয়েলের পরিচালক ও বাচিক শিল্পী সালেহ আহমদ খসরু, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ মো. আতিকুল হক, কেমুসাস সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী এবং সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহিত চৌধুরী।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ‘আলোর অন্বেষণ’-এর সভাপতি সাজন আহমদ সাজু। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এমজেএইচ জামিল ও সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন।
এছাড়া সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি ছয়ফুল আলম পারুল, লেখক মাওলানা শামসীর হারুনুর রশীদ, জেলা বিএনপির সাবেক স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক লায়েছ আহমদ, সাবেক ছাত্রদল নেতা সোহেল আহমদ, সাবেক কৃষকদল নেতা মারুফ আহমদ টিপু, শিল্পী সুয়েজ হোসেন, মানবাধিকার কর্মী নূরজাহান ছাদেক নূরী, নারী উদ্যোক্তা নিশাত ফাতেমা মেহের, কবি মাহফুজ জোহা, আখলাকুর রহমান, জীম হামযাহ, শামীমা আক্তার মাহা, ফাতেহা বেগম, সোহেল আহমদ সোহাগ, হাসান আহমদ সানি, জসিম হাসান রাফি, এমদাদুল হক রাজন, বুরহান উদ্দিন রিপন, শফি উদ্দিন ফাহিম, সমাজকর্মী ইকবাল আহমদ, মো: আল আমীন, সাজ্জাদ মিয়া, কয়েস মিয়া, মাকসুদুর রহমান, ফিরোজা বেগম, পাবেল আহমদ, জাহিদ আহমদ, আহমদ আলী ও সিহাব রহমান প্রমুখ।