মান্দা (নওগাঁ) সংবাদদাতা
নওগাঁর মান্দায় লুটপাটের পর বসতবাড়ি পুড়ানোর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নয়জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) গ্রেফতারদের নওগাঁ কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- এমাজ উদ্দিন মণ্ডল (৫৫), আবু সাইদ মণ্ডল (৪৫), মাইনুল ইসলাম (৪০), তুহিন আলী (৪০), বিদ্যুৎ হোসেন গাইন (৩৬), বুলবুল আহমেদ সুমন (৩২), ফিরোজ হোসেন (২৬), মারুফ হোসেন (১৯) ও পিয়াস আহমেদ (১৯।
এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের বিলউথরাইল গ্রামে লুটপাট ও অগ্নিকাণ্ডের জড়িত থাকার ঘটনায় নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ভুক্তভোগী আতাউর রহমান বিলউথরাইল গ্রামের মরহুম ফজের আলীর ছেলে।
জানা যায়, বিবাদমান একটি জমি নিয়ে বিলউথরাইল পশ্চিমপাড়া গ্রামের লোকজনের সাথে ভুক্তভোগী আতাউর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভূক্তভোগী আতাউর রহমানের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের পর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
সংবাদ পেয়ে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত নয়জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম।
ভুক্তভোগী আতাউর রহমান বলেন, ‘আমার কবলা করা সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে জবরদখল করে রেখেছে বিলউথরাইল পশ্চিমপাড়ার লোকজন। আদালতের রায়ের পরও ওই সম্পত্তিতে যেতে পারছি না। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।’
আতাউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে পশ্চিমপাড়ার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বসতবাড়িতে হামলা করে। হামলাকারীরা ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে আমাদের সপরিবারে হত্যার উদ্দেশ্যে বসতবাড়িতে আগুন দেয়। হামলাকারীদের আগুনে পুরো বাড়ির টিনের ছাউনি, দু’টি মোটরসাইকেল, জমির দলিলসহ যাবতীয় আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তা আমরা কোনোভাবে প্রাণে বেঁচে যাই।’
এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আতাউর রহমানের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। ঘটনায় আতাউর রহমান ২৬জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। রাতেই যৌথ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৯জনকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’