তিন মাস পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার শুরু, বড় মাছের দেখা নেই

চলমান বৃষ্টি ও হ্রদের পানি বৃদ্ধির ফলে পোনা মাছ মারা গেছে। নতুন এই পোনা মাছ ছাড়ার পর যদি আরো ১৫ দিন পরে ধরা হতো তাহলে যে মাছ এখন এক কোটি টাকা বিক্রি হবে তা চার কোটি টাকার বেশি বিক্রি হতো।

পুলক চক্রবর্তী, রাঙ্গামাটি

Location :

Rangamati
বাজারে আনা বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ
বাজারে আনা বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ |নয়া দিগন্ত

তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে আবারো মাছ শিকার শুরু হয়েছে। গতরাত ১২টার দিকে মিনিটে হ্রদে মাছ আহরণে নেমেছে হাজারো জেলে। তবে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ছোট আকারের মাছ। মিলছে না বড় মাছ।

রোববার (৩ আগস্ট) ভোর থেকে রাঙ্গামাটি বিএফডিসির চারটি ঘাটে কাপ্তাই হ্রদে আহরিত মাছ আসতে শুরু করেছে।

এদিন সকালে মিলাদ ও দোয়ার মধ্য দিয়ে মাছের ওজন কার্যক্রম শুরু হয়। ৭২৫ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে প্রতিবছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত মাছ শিকার নিষিদ্ধ থাকে। হ্রদের মাছের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন বিএফডিসির। তারা এ সময়ে হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্ত করে।

রাঙ্গামাটি বিএফডিসি ম্যানেজার কমান্ডার মো: ফয়েজ আল করিম বলেন দীর্ঘ ৩ মাস দু’দিন (৯৪ দিন) পর মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার রাত ১২টার দিকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নামে জেলেরা। আজ ভোর ৬টা থেকে রাঙ্গামাটির চারটি ল্যান্ডিং ঘাটে আবারো কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাছ শিকার বন্ধ আরো কিছুদিন বাড়ানো হলে ভালো হতো। এখন জেলেদের জালে যেসব মাছ ধরা পড়ছে তা আকারে অনেক ছোট। কাপ্তাই হ্রদের নতুন পানিতে বড় রুই জাতীয় মাছের চেয়ে কাচকি ও চাপিলার আধিক্য বেশি। এসব মাছের সাইজ ছোট হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।

তারা বলছেন, চলমান বৃষ্টি ও হ্রদের পানি বৃদ্ধির ফলে পোনা মাছ মারা গেছে। নতুন এই পোনা মাছ ছাড়ার পর যদি আরো ১৫ দিন পরে ধরা হতো তাহলে যে মাছ এখন এক কোটি টাকা বিক্রি হবে তা চার কোটি টাকার বেশি বিক্রি হতো।

৭২৫ বর্গকিলোমিটারের কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করা,অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। এই হ্রদে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় ২৭ হাজার জেলে। প্রতি বছর হ্রদে মাছ ধরা বন্ধকালীন তিন মাস বেকার জেলে পরিবারকে ভিজিএফের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।