ডুমুরিয়ায় গরুর হাটের অধিপত্য নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১১

খুলনার ডুমুরিয়ায় গরুর হাটের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছেন।

ডুমুরিয়া (খুলনা) সংবাদদাতা

Location :

Dumuria
ডুমুরিয়ায় গরুর হাটের অধিপত্য নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১১
ডুমুরিয়ায় গরুর হাটের অধিপত্য নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১১ |নয়া দিগন্ত

খুলনার ডুমুরিয়ায় চুকনগর গরুর হাটের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চুকনগর গরুরহাট এবং ইউপি পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিনের অনুসারি গোবিন্দকাটি গ্রামের সেলিম তরফদার, চাকুন্দিয়ার তামিম শেখ, রানা শেখ, চুকনগর সদরের দেবব্রত রায় ও মঠবাড়িয়ার রাব্বি মোড়ল এবং অপর পক্ষের গ্রুপ লিডার বিএনপি নেতা সরদার দৌলত হোসেনসহ আবু হাসান, আমিনুর সরদার, রোস্তম শেখ, আবু তালেব ও শহিদুল ইসলাম।

জানা যায়, আটলিয়া ইউনিয়নে চুকনগর গরুর হাটের আধিপত্য নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তারই জেরে ঘটনারদিন আকস্মিকভাবে গরুর হাটের ইজারা তুলতে যায় সরদার দৌলত হোসেন ও তার অনুসারীরা।

এদিন প্রায় অর্ধশত লোকজন নিয়ে গরুর হাটের পাস ঘরের বেড়া ও কিছু আসবাসপত্র ভাংচুর চালিয়েছে তারা। যদিও বিষয়টি তিনি (দৌলত) অস্বীকার করেছেন।

সরদার দৌলত হোসেন জানান, হাটের ইজারার সব টাকা মসজিদ উন্নয়নে দেয়ার কথা। কিন্তু চেয়ারম্যান সেটা দিচ্ছে না।

ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন জানান, আজকে (শুক্রবার) সকালে ওরা ৮/১০জন গরুর হাটে যেয়ে পাসবই নিয়ে নিজেরাই লেখা শুরু করে। পরে তাদের কাছে জানতে চাইলে ওরা আমাদের লোকের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ঢুকেও হামলা করে। তিন দফায় হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতদেরকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সরদার দৌলত হোসেন জানান, হাট বিক্রির যাবতীয় টাকা মসজিদ উন্নয়নের জন্য দাবি করা হয়েছিলো। কিন্তু চেয়ারম্যান সেটা মানতে রাজি নয়। এ নিয়ে মারামারির সৃষ্টি হয়।

থানা অফিসার ইনচার্জ মো: মাসুদ রানা জানান, গরুর হাট নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে থানা পুলিশসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। হাট শেষ হলে পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।