নাটোরে মরিচ গুঁড়া মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে দু’নারীকে ঝলসে দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ছয়জনকে গ্রেফতারের পর সেনা প্রধানের নির্দেশে আহত শাহনাজ বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বগুড়া সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামে মধ্যযুগীয় কায়দায় নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার ছয়জনকে আটক করে সেনাবাহিনী।
তারা হলেন নাটোর সদরের রামনগর গ্রামের তৌহিদ উদ্দিনের ছেলে মো: সুলতান ডাকাত, তার ছেলে মো: লালচান, তার স্ত্রী মোছা: আয়মনা, একই এলাকার মোহনপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মো: সাইফুল ইসলাম, তার স্ত্রী মোছা: শীলা খাতুন ও একই এলাকার পন্ডিতগ্রামের রতন মিয়ার স্ত্রী মোছা: শাকিদা।
এর আগে গত ২৬ জুন সন্ধ্যায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোহনপুর গ্রামের হালিমা খাতুন ও শাহনাজ বেগম নামের মধ্য বয়সী দু’নারীকে গরম পানির সাথে মরিচের গুঁড়ার মিশিয়ে ঝলসে দেয়া হয়।
এ সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ও মাথায় আঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। এর মধ্যে শাহনাজ বেগমের অবস্থা বেশি আশঙ্কাজনক হওয়ায় এবং পরিবার তার আর চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে না পারায় সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের নির্দেশে নাটোর ক্যাম্পের সদস্যরা বিনা খরচে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়া সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেনা সদস্যরা জানান, প্রয়োজনে হলে তাকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।