দেবীগঞ্জে রত্না হত্যা মামলার মূল আসামি গেফতার

ঘটনার পর মহাদেব রায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

শেখ ফরিদ, দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়)

Location :

Panchagarh
গ্রেফতার মূল আসামি মহাদেব রায়
গ্রেফতার মূল আসামি মহাদেব রায় |নয়া দিগন্ত

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সুলতানা আক্তার রত্না (২০) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একইসাথে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল আসামি মহাদেব রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল আনুমানিক পৌনে ৭টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দহলা খাগড়াবাড়ি মাঝপাড়া গ্রামে ধানক্ষেত থেকে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহত রত্নার লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

ঘটনায় নিহতের বাবা রবিউল ইসলাম দেবীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করলে পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।

পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান মুন্সীর দিকনির্দেশনায়, দেবীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার স্যামূয়েল সাংমার তদারকিতে এবং তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রবীর চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্তে নামে। একপর্যায়ে নিহত রত্নার প্রেমিক মহাদেব রায়কে (৩০) বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার মহাদেব রায় দেবীগঞ্জ উপেনচৌকিভাজনী পুন্ডিপাড়া এলাকার খোকা বর্মণের ছেলে।

দিকে জিজ্ঞাসাবাদে মহাদেব রায় স্বীকার করেন, তার সাথে রত্নার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। তবে পরবর্তী সময়ে মহাদেবের পরিবারের পক্ষ থেকে অন্যত্র বিয়ে ঠিক করা হলে রত্না বিষয়টি জানতে পেরে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার জন্য চাপ দেন। ঘটনার দিন মহাদেব পরিকল্পনা করে রত্নাকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে নিজের পরনের ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে রত্নাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যান।

ঘটনার পর মহাদেব রায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, এটি একটি পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড। মামলার অন্য আইনানুগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।