ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের মহিলা রোড এলাকায় অবস্থিত তোফাজউদ্দিন ফিলিং স্টেশনে অবৈধভাবে এলপিজি সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দবিরউদ্দিনের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ফিলিং স্টেশনে যানবাহনে ব্যবহারের জন্য মজুদ করা গ্যাস অবৈধভাবে বাসাবাড়ির এলপিজি সিলিন্ডারে রিফিল করা হচ্ছিল। কোনো ধরনের নিরাপত্তা পরীক্ষা ছাড়াই এসব সিলিন্ডারের মুখে সিলিং রিং ও প্লাস্টিক ক্যাপ লাগিয়ে বাজারজাত করা হতো।
ইউএনও দবিরউদ্দিন জানান, তোফাজউদ্দিন ফিলিং স্টেশন থেকে অবৈধভাবে এলপিজি সিলিন্ডার রিফিলের সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে সতর্কতামূলকভাবে বিস্ফোরক আইন ১৭৮৪-এর ৭(১) ধারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি বিস্ফোরক অধিদফতরকে জানানো হয়েছে এবং তারা নিয়মিতভাবে এটি মনিটরিং করবে। ভবিষ্যতে পুনরায় এ ধরনের কার্যক্রম ধরা পড়লে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
এর আগে শনিবার গভীর রাতে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী দলের সদস্যরা ফিলিং স্টেশনের রিফিল চেম্বারে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে গ্যাস ভরার প্রমাণ পান। তারা জানান, বসুন্ধরা, ইউনিক, সেনা, ওমেরাসহ বিভিন্ন কোম্পানির ১২ লিটারের সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিল করে মুখে প্লাস্টিক ক্যাপ লাগিয়ে সিল করা হচ্ছিল। এ সময় একটি ট্রাক ভর্তি সিলিন্ডারও প্রস্তুত অবস্থায় পাওয়া যায়।
স্বেচ্ছাসেবী দলের প্রতিনিধি আবরার নাদিম ইতু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে এভাবে গ্যাস রিফিল করা হচ্ছিল। এটি ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ। রিফিলের সময় যেমন দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে, তেমনি এসব সিলিন্ডার ঘরে নিয়ে যাওয়ার পর বিস্ফোরণের আশঙ্কা থাকে। বহুবার সতর্ক করার পরেও তারা অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ না করায় বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দবিরউদ্দিন জানান, তোফাজউদ্দিন ফিলিং স্টেশনের মালিক পক্ষ অবৈধভাবে এই এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার রিফিলের বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন। ফিলিং স্টেশনের কোন দুষ্টু চক্র এতে জড়িত থাকতে পারে বলে তাদের দাবি।