বিজিএমইএ সভাপতির সাথে ডিআরইউ নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতি বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য চ্যালেঞ্জ : বিজিএমইএ সভাপতি

বৈঠকে ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বিজিএমইএ সভাপতির সাথে ডিআরইউ নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বিজিএমইএ সভাপতির সাথে ডিআরইউ নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ |ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান (বাবু) বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি বাংলাদেশী বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সাথে আলোচনায় ৪০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজনের শর্ত প্রস্তাব করেছেন, যা বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সমাজের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

শনিবার বিকেলে উত্তরায় অবস্থিত বিজিএমইএর কার্যালয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল আলোচনায় অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউর সহসভাপতি গাযী আনোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, নারী বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী এবং কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ৪০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজনের শর্ত সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করছি। আমাদের দাবি হলো, রুলস অব অরিজিন বিবেচনায় বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য এই শর্ত শিথিল করা হোক। আমাদের জন্য এটি একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে, এবং সরকারের সাথে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন।

তিনি আরো জানান, এটি এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়, তবে এই বিষয়ে আলোচনার মধ্যে রয়েছে। আমাদের ব্যবসায়ী সমাজকে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া উচিত, কারণ এটি আমাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে।

বিজিএমইএ সভাপতি সরকারের সময়মতো সঠিকভাবে আলোচনায় অংশ না নেয়ার বিষয়ে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এটা সত্যিই উদ্বেগজনক যে, গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলোতে ব্যবসায়ী সমাজকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। যদি সরকার সত্যিই পদক্ষেপ নিতে চায়, তাহলে সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডারদের সাথে সঠিকভাবে আলোচনা করা উচিত।

এ ছাড়া, বিজিএমইএ সভাপতি কটন আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এইটি) আরোপের বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, যখন আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বলছি, তাদের কটন কেনা বাড়াতে, তখন আমাদের দেশের সরকার কিভাবে আবার কটনে অগ্রিম আয়কর আরোপ করছে? এটি সত্যিই স্ববিরোধী।

কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, কিছু সমস্যা থাকলেও, ঈদের আগে কারখানাগুলোর বেতন-বোনাস পরিশোধের হার ৯৯ শতাংশের ওপরে ছিল। শ্রমিকদের জন্য আইনগত পাওনা নিশ্চিত করতে আমরা শুরু থেকেই সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলোর সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি সংবাদমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান, আমাদের খাতের অবদান প্রায় ৮০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মধ্যে, সুতরাং সংবাদ প্রচারের আগে সঠিক তথ্য পরিবেশন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই বৈঠকে ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের আলোচনায় সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দেশের বাণিজ্যিক অগ্রগতির জন্য জরুরি।